বিক্রি আশানুরূপ নয় বইমেলা প্রাণের মেলা

বিকেল গড়াতেই মুখর মেলা প্রাঙ্গণ। পবিত্র শবে বরাতের ছুটির অবসরে পরিবার-পরিজন নিয়ে মেলায় এসেছেন নগরবাসী। বাড়তি লোকের কারণে বিক্রিও বেড়েছে কিছুটা। তবে তা এখনো আশাবাদী হওয়ার মতো নয় বলে ভাষ্য অধিকাংশ প্রকাশকের প্রতিনিধিদের।

গতকাল মঙ্গলবার ছিল অমর একুশে বইমেলার ১৩তম দিন। তাহিরা খানম ছোট ভাইবোন নিয়ে এসেছিলেন মেলায়। তিনি বলেন, ‘এবার তো শিশু প্রহর নেই। কিন্তু বাড়ির পিচ্চিদের তা বোঝানো যাচ্ছে না। মেলায় এসেই বই কিনবে। তাই নিয়ে এলাম।’

অনেকের হাতেই একটি বা দুটি করে বইয়ের ব্যাগ দেখা গেল। কল্লোল নামের একজন জানান, তিনি পছন্দের বইয়ের তালিকা করে এনেছেন। আর স্টল নম্বরগুলোও লিখে এনেছেন। মেলায় ঢুকে নির্দিষ্ট স্টলগুলোতে গিয়ে বই কিনে বের হয়ে যাবেন।

অবসর প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, অন্যবারের মেলায় এক শুক্র বা শনিবারে যতটা বিক্রি হয়, তা এবার ১৩ দিনেও হয়নি।

মাওলা ব্রাদার্সের বিক্রয় উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহীন শিকদার মনে করেন, ক্রেতা কম হওয়ার জন্য জনপ্রিয় লেখকদের মেলায় না আসা বা কম আসাও একটি কারণ। তাঁর কথা, জনপ্রিয় লেখকদের ফেসভ্যালুও একটা ব্যাপার। তাঁরা থাকলে ক্রেতারা খুশি হয়েও বই কেনেন।

বাংলা একাডেমি জানায়, গতকাল মেলায় বই এসেছে ১১২টি। এর মধ্যে কবিতার বই সবচেয়ে বেশি, ৫০টি।

প্রথমার বই: গতকাল প্রথমার স্টলে নতুন দুটি বই এসেছে। একটি প্রয়াত শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামানের আমার অভিধান। আনিসুজ্জামানের একান্ত ব্যক্তিগত অভিধানের এই বই তাঁর নিজের পরিকল্পনায় করা শেষ বই।

আরেকটি বই প্রয়াত গবেষক, কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদের নবাব সলিমুল্লাহ ও তাঁর সময়। বইটিতে গবেষণার মধ্য দিয়ে স্যার সলিমুল্লাহকে সামগ্রিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

অন্য বই: সময় প্রকাশন থেকে এসেছে শান্তনু মজুমদারের গণতন্ত্র-ঘাটতি বিশ্ব, দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশ। ভীষ্মদেব চৌধুরীর প্রিয় প্রবন্ধ এনেছে কথাপ্রকাশ। এ ছাড়া অনন্যা থেকে এসেছে হাবীবুল্লাহ সিরাজীর পরাজয় মানে না মানুষ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এনেছে মাহবুবুল হকের স্মৃতিকথা ও পটভূমি এক নয় ৭১, অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে এসেছে আহমদ রফিকের বই পড়া-কাগজ পড়ার একান্ত ভুবন, বিভাস এনেছে মহাদেব সাহার কবিতার জীবন এবং যুক্ত থেকে এসেছে সনৎকুমার সাহার চেনা-শোনা।