বিগানের সঙ্গে বৈঠকে প্রাধান্য পাবে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন
ফাইল ছবি

মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগানের ঢাকা সফরে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানে বাংলাদেশ জোর দেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের একার দায়িত্ব নয়। এই সমস্যার সমাধান সারা বিশ্বের ওপর বর্তায়।

স্টিফেন বিগানের সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে। আলোচনায় কোন প্রসঙ্গগুলো উঠতে পারে, জানতে চাইলে এ কে আব্দুল মোমেন আজ সোমবার তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলোচনায় রোহিঙ্গা তো আমাদের একটা বড় ইস্যু থাকবে। আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চাই। শুধু মানবিক সহায়তা নয়। প্রত্যাবাসনের জন্য কী কী করতে হবে, সেটা ওনারা ঠিক করুক। এটা আমাদের একার দায়িত্ব নয়। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান সারা বিশ্বের ওপর বর্তায়।’

যুুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওনারা ইন্দো-প্যাসিফিকের কথা বলবেন। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে আমরা বলব, এর কার্যকারিতা বাড়াতে হলে তাদেরও (যুক্তরাষ্ট্রের) অবকাঠামোতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের আর্থিক বিনিয়োগ করতে হবে। শুধু মুখে বললেই হবে না। যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হওয়া বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের তারা ভিসা দেয়নি। অথচ ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের তারা ভিসা দিয়েছে। এ ধরনের আচরণ বৈষম্যমূলক। কাজেই এই বিষয়টিও আমরা তুলব।’

তিন দিনের সফরে স্টিফেন বিগান আগামী বুধবার দুপুরে ঢাকায় আসছেন। সফরের প্রথম দিন সন্ধ্যায় তিনি রাজধানীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন।

সফরের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার স্টিফেন বিগান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থানের সময় মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপনে বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে, স্টিফেন ই বিগানের ঢাকা সফরে সেটা স্পষ্ট। তারা স্বভাবতই ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনাতে বিশেষ জোর দেবে। আর বাংলাদেশের দিক থেকে অর্থনৈতিক কৌশলগত সহযোগিতায় বিশেষ জোর দেওয়া হবে।