সুন্দরবন রক্ষায় রোডমার্চ চলাকালে নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং ৫ নভেম্বর দেশব্যাপী ‘সুন্দরবন রক্ষা সংহতি দিবস’ পালনের ঘোষণা দিয়েছে মোর্চাটি।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর তোপখানা রোডের কমরেড নির্মল সেন মিলনায়তনে রোডমার্চ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন বাম মোর্চার সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, রোডমার্চের মতো পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিনা উসকানিতে পুলিশের উপর্যুপরি হামলা সরকারের চরম অগণতান্ত্রিক, অসহিষ্ণুতা ও স্বৈরতান্ত্রিক চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। তিনি গ্রহণযোগ্য বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার ও শাস্তির দাবি করেছেন।
সাইফুল হক বলেন, মানিকগঞ্জে রোডমার্চকারী নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের হামলায় গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশুসহ মোর্চার ২৫ জন এবং মাগুরায় ২০ জন আহত হন। মাগুরায় রোডমার্চের পুরো বহরকে পুলিশ সামনে ও পেছন থেকে ঘেরাও করে কোথাও নামতে না দিয়ে রাস্তায় চলতে বাধ্য করে। ফলে ১৭ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫০ জন নারীসহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আক্ষরিক অর্থেই অভুক্ত থাকতে হয়। তিনি আশা করেন, সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রোডমার্চের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, মোশরেফা মিশু, জোনায়েদ সাকি, মোশারফ হোসেন, ইয়াসিন মিয়া, হামিদুল হক প্রমুখ।