বিজয় ফুল, গণহত্যার স্বীকৃতির প্রচেষ্টা ও দেশপ্রেম

প্রবাসীরা এখন আরেকটি বড় কাজে মন দিয়েছেন—একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে তাঁদের উদ্যোগ ক্রমে জোরদার হচ্ছে।

হাজংদের ঐতিহ্যবাহী হাতপাখায় সুই-সুতায় আঁকা ‘বিজয় ফুল’ছবি: সংগৃহীত।

প্রবাসীদের সম্পর্কে দেশের কেউ কেউ প্রায়ই গড়পড়তা মন্তব্য করে থাকেন। প্রশ্ন তোলেন তাঁদের দেশপ্রেম নিয়ে। উদাহরণ দেন কানাডার বধূপল্লির বা পালিয়ে যাওয়া ‘পি কে’দের। সবটা হয়তো মিথ্যা নয়, আবার সবাই যে একই রকম সেটিও নয়।

মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে প্রবাসীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ আমাদের গৌরবময় ইতিহাসের অংশ। শুধু একাত্তরেই তাঁরা দেশের জন্য বড় কিছু করে দেখিয়েছেন তা নয়, দেশের জন্য তাঁদের কিছু করার প্রচেষ্টায় ছেদ পড়েনি কখনো। দেশকে সারা পৃথিবীর কাছে তুলে ধরা এবং আগামী প্রজন্মের কাছে দেশের ইতিহাস জানিয়ে দেওয়ার কমপক্ষে দুটি সফল মহৎ কাজের কথা এখন সবারই জানা।

যে যাঁর জায়গা থেকে দেশের প্রতি তাঁদের ভালোবাসার ঘুড়িটা মেলে ধরতে চান। পূর্ব আফ্রিকার সহেলি ভাষায় কবি জীবনানন্দ দাসের কবিতা অনুবাদ করছেন কেনিয়ার বন্দর শহর মোম্বাসার পণ্য খালাস ও রপ্তানিতে সহযোগিতাকারী ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট কার্যালয়ের কর্মী শওকত মির্জা। তিনি নড়াইলের মানুষ, শিল্পী এস এম সুলতানের স্কুলে তাঁর আঁকার হাতেখড়ি। শুধু অনুবাদ করছেন না, আঁকছেন কবিতার নানা রূপকল্প। চালতা ফুল, ভাঁটফুল, শিশিরের শব্দ, ঘাঁসফুল—কত কী!

সহেলি ভাষা আমি বুঝি না; কিন্তু এক শুক্রবার সন্ধ্যায় সপ্তাহ শেষের দিন আফ্রিকার বন্ধুদের নিয়ে তিনি যখন সহেলি ভাষায় জীবনানন্দ শোনাচ্ছিলেন, সবার চোখ ভিজে গিয়েছিল। নিশ্চয়ই মির্জার অনুবাদ কেনীয়দের দিল ছুঁয়ে গেছে।

সারা দিনের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর কেন এসব করছেন মির্জা, এই জোয়ান বয়সে কেন তিনি ঘুম আর আড্ডার মহব্বত ছেড়ে দিয়ে জীবনানন্দকে নিয়ে পড়ে রয়েছেন, এসব প্রশ্নের জবাবে তিনি শুধু মুচকি হাসেন। সেই হাসিই বলে দেয়, আর কিছু নয়, এ স্রেফ দেশপ্রেম।

মালয়েশিয়ার কাছাকাছি ইন্দোনেশিয়ার এক শহরে দেখা হয় একদল বাংলাদেশি শ্রমিকের সঙ্গে। কারও নথিপত্র আছে। কারও নথিপত্রের মেয়াদ ফুরিয়েছে অনেক আগে। তা নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ঘনিয়ে এল ষোলোই ডিসেম্বর, বাংলাদেশের বিজয় দিবস। দাওয়াত দিলেন সকাল থেকেই তাঁদের সঙ্গে থাকার জন্য। ষোলোই ডিসেম্বর সে দেশে ছুটির দিন নয়, কিন্তু তাঁরা সবাই ছুটি নিয়েছেন। সকালে একজনের তোরঙ্গ থেকে বের করা হলো আমাদের জাতীয় পতাকা। সবাই তাতে চুমু খেলেন। তারপর সেই পতাকা টানানো হলো উঁচু একটি বাঁশের মাথায়, জাতীয় সংগীতের তালে তালে। দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রবাসে যাওয়ার আগে আমরা কজন দেশের পতাকা সঙ্গে নেওয়ার কথা ভাবি?

দেশের প্রতি, জাতীয় প্রতীকের প্রতি এই অকৃত্রিম ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের কাছে, দেশের বাইরে জন্ম নেওয়া আর বেড়ে ওঠা দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্মকে ধরিয়ে দেওয়ার একটি পথ বের করেছেন বিলেতের প্রবাসীরা। প্রতিবারের মতো এবারও ‘বিজয় ফুল’ কর্মসূচি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১ মিনিটে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্ক থেকে সারা বিশ্বের ‘বিজয় ফুল’ কর্মসূচি যাত্রা শুরু হওয়ার কথা। সন্ধ্যা ৬টা ১ মিনিটকে বেছে নেওয়ার কারণ, বাংলাদেশে ঠিক একই সময়ে শুরু হবে বিজয়ের মাস (১ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিট)। ডিসেম্বর মাসের ১ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত বিশ্বের সর্বত্র মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলা ও প্রতিদিন ‘বিজয় ফুল’ পরার আহ্বান জানিয়েছে লন্ডনের বিজয় ফুল কেন্দ্রীয় কমিটি।

বিজয় ফুল আন্দোলন

বিলেতের (যুক্তরাজ্য) শিশুরা নভেম্বর মাসে সবার বুকে পপি ফুল দেখে অভ্যস্ত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মিত্রশক্তি নিজেদের গৌরবগাথা স্মরণ করে কাগজ বা কাপড়ের তৈরি লাল পপি দিয়ে। লাল পপি স্মরণিকা সূচিত হয় কানাডার এক চিকিৎসকের হাত ধরে।

চিকিৎসক লে. কর্নেল জন মাক্রে একটি কবিতা লিখেছিলেন—‘ইন ফ্লানডারস ফিল্ড’। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধক্ষেত্র ছিল ফ্লানডারস ফিল্ড। সেখানে ফুটত পপি ফুল, যেন নিহত সৈনিকদের রক্তে ফোটা ফুল। জন মাক্রের মর্মস্পর্শী সেই বর্ণনা জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনিয়া মিচিলকে আলোড়িত করে। তিনি লেখেন আরেক অমর কবিতা—‘উই শ্যাল কিপ দ্য ফেইথ’। তিনি এই কবিতায় সবাইকে নভেম্বরে নিজের পোশাকে বুকের কাছে পপি ফুল ধারণের আহ্বান জানান। গোটা ইউরোপ সাড়া দেয় সেই ডাকে। পৃথিবীর অনেক জাতি ও দেশ ফুলের প্রতীক পোশাকে লাগায়।

কবি শামীম আজাদের উৎসাহে লন্ডনে বাংলাদেশের দেশসচেতন প্রবাসীরা ঠিক করেন শিশুদের অভ্যস্ততাকে কাজে লাগিয়ে তাঁরাও
একটি ফুল দিয়ে তাঁদের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন ও বিজয় দিবসের পাঠ দিতে পারেন সন্তানদের। এসব শিশুর জন্ম বিলেতে। বাংলাদেশ তাদের কাছে কেবলই নানা-নানি, দাদা দাদির ছবি বা অ্যালবাম। তাদের কাছে দেশকে তুলে ধরতে, দেশের জন্য ভালোবাসাটা জাগিয়ে তোলার জন্য নানা উপলক্ষে দেশকে হাজির করাটা জরুরি। সেই চিন্তা থেকে বিজয় ফুলের ধারণা ডানা মেলতে থাকে। সহজে আঁকা যায় এমন, আবার রংটা যেন আমাদের জাতীয় পতাকার লাল-সবুজের সঙ্গে মিলে যায়। এই ফুল কোনো গাছে ধরে না, এই ফুল ফোটে হৃদয়ের গভীরে।

পাঁচটি সবুজ পাপড়ি আর মাঝখানে লাল বৃত্ত তৈরি করতে করতে শিশুরা জানতে চায়, কেন পাঁচটা পাপড়ি, কেন বৃত্তটি লাল? তখনই সুযোগ আসে স্বাধীনতার কথা বলার, দেশের কথা উচ্চারণের। জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন দপ্তরের সাবেক পরিচালক সেলিম জাহান বলেন, ‘পাঁচটি পাপড়ি দিয়ে কত কিছু বোঝানো যায়! পাঁচটি মৌলিক অধিকার, আমাদের দেশের পাঁচটি প্রধান নদী, আমাদের সমাজের বৈচিত্র্য, নানা জাতিসত্তার অস্তিত্ব। বিজয় ফুলের মাঝখানের লাল বৃত্তটি আমাদের স্বাধীনতার সূর্যের প্রতীক।’

সাঁওতালদের পুড়িয়ে দেওয়া গ্রামে, অবহেলিত হাজং জনপদে, পাহাড়ধসে হারিয়ে যাওয়া চাকমা-মারমা জনপদে কিংবা উপকূলের জলদাসপাড়ায় অথবা ভাঙা চরের ক্ষুধার্ত গ্রামে—যেখানই বিজয় ফুলের বার্তা নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেখানেই এই ফুলের সহজ-স্বাভাবিক গ্রহণযোগ্যতা লক্ষ্য করেছেন সবাই। চারুকলার ছাত্রছাত্রীরা আবিষ্কার করেছেন চারুকলার অন্তর্নিহিত শক্তি—পাঁচটি পাপড়ির মধ্যে রয়েছে মানুষকে আলিঙ্গন করার অপার ক্ষমতার পরিসর। গত বছর করোনা মহামারির সময় হাজং জনপদের কিশোর-কিশোরীরা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী হাতপাখায় বিজয় ফুলের ‘মোটিফ’ ব্যবহার করে সাড়া ফেলে দিয়েছিল দেশে দেশে। করোনার বছরে ঘরে বসে তাঁরা এই কাজ করেছেন মনের আনন্দে। আর পাখা বিক্রির টাকায় শিশুদের মধে৵ বিতরণ করেছেন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষার নানা উপাচার (হাইজিন কিট)।

প্রবাসীদের আরেকটি বড় অর্জন একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। বায়ান্নর সফল ভাষা আন্দোলনের কথা এখন আর পাকিস্তানের একাংশের বঞ্চনা আর সংগ্রামের ইতিহাস নয়, পৃথিবীর সব দেশের মাতৃভাষা দিবস। নিজ নিজ দেশে মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপনের সময় সবাই জেনে যায় আমাদের ভাষা আন্দোলনের কথা। মায়ের ভাষা রক্ষার জন্য তরুণদের রক্ত দেওয়ার কথা। ভাষাশহীদ দিবসকে পৃথিবীর মানচিত্রে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে এঁকে দেওয়ার কাজটা শুরু করেছিলেন প্রবাসীরা।

কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরের প্রবাসী দুই বন্ধু রফিক ও সালাম (রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম) প্রথমে স্বপ্ন দেখেছিলেন একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষাশহীদ দিবসকে বিশ্বব্যাপী উদ্‌যাপনের। স্বপ্ন দেখা সহজ, কিন্তু তা সময়মতো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে লেগে থাকার ধৈয৴ সবার থাকে না। তাই বোধ হয় রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘আমরা আরম্ভ করি, শেষ করি না; আড়ম্বর করি, কাজ করি না; যাহা অনুষ্ঠান করি তাহা বিশ্বাস করি না; যাহা বিশ্বাস করি তাহা পালন করি না…।’

রবীন্দ্রনাথের দুঃখ ভারাক্রান্ত মন যে বাক্যবাণ ছুড়েছিল, তা আর যা–ই হোক আধুনিক উদ্যমী প্রবাসীদের ক্ষেত্রে বর্ণে বর্ণে সত্যি নয়। কানাডা প্রবাসী রফিক-সালাম বন্ধুদ্বয় দেশের সরকার বা রাজনীতিসংশ্লিষ্টদের আশায় বসে না থেকে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তাঁদের প্রচার চালিয়ে গেছেন। এক যুগ লেগে যায় তাঁদের কাজটা সম্পন্ন করতে। কেন এত সময় লাগল? আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, রাষ্ট্রীয় গড়িমসি—কিসের আগে কিসের কথা বলব? তবে রফিক-সালাম হাল ছাড়েননি। যার ফল আমরা পাচ্ছি।

প্রবাসীদের নতুন উদ্যোগ

প্রবাসীরা এখন আরেকটি বড় কাজে মন দিয়েছেন—একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের উদ্যোগ ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর জেনেভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন রিকগনিশন অব ১৯৭১ বাংলাদেশ জেনোসাইড’। গণহত্যা বিশেষজ্ঞদের শক্তিশালী ফোরাম আন্তর্জাতিক জেনোসাইড স্কলারস অ্যাসোসিয়েশনের অনেকেই পা পা করে এগিয়ে আসছেন প্রবাসীদের এই উদ্যোগের সমর্থনে।

স্পেনের বার্সেলোনায় গত ১৯ জুলাই আইএজিএস ও স্পেনের ইউনিভার্সিটি অব বার্সেলোনার যৌথ আয়োজিত গণহত্যাবিষয়ক ৫ দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ৫০ বছর আগে ঘটে যাওয়া বাংলাদেশের গণহত্যা গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়। ‘বাংলাদেশে গণহত্যার ৫০ বছর এবং অতঃপর’ শিরোনামে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন খ্যাতিমান গণহত্যা বিশেষজ্ঞ ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এডাম জোন্স। তাঁর সভাপতিত্বে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের গবেষক শাহরিয়ার আলম, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, এমরান আজাদ ও তৌহীদ রেজা নূর নিজেদের গবেষণার ফল উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে গণহত্যার স্মৃতি কীভাবে প্রবাহিত হচ্ছে, সে বিষয়ে আলোকপাত করেন যুক্তরাষ্ট্রের বিংহ্যামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক শাহরিয়ার আলম। ‘একাত্তর সালের গণহত্যা বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি: একটি নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক গবেষণার ফল উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলএম গ্র্যাজুয়েট এমরান আজাদ আলোচনা করেন একাত্তরে সংঘটিত গণহত্যার শিকার পরিবারের জন্য গঠিত বিচার প্রক্রিয়ার অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও এর ভবিষ্যৎ নিয়ে।

প্রবাসী এই শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা অন্য কোনো বিষয়ে কাজ করতে পারতেন। সেসব দিকে না গিয়ে একাত্তরের গণহত্যাকে তাঁরা বেছে নিয়েছেন। বলতে বাধা নেই, আমরা আবেগে ভর করে হাঁটতে গিয়ে গণহত্যার অনেক দলিল-দস্তাবেজ হাতছাড়া করে ফেলেছি। গবেষকেরা নিশ্চয়ই সেগুলো উদ্ধার করতে পারবেন। প্রামাণ্য দলিল পুরোটা এখনো হাতছাড়া হয়নি। এ উদ্যোগকে বেগবান করতে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে।

গণহত্যা সাক্ষী দেশি-বিদেশি বন্ধুদের এককাট্টা করার সময়, সেগুলো যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করার সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে শুধু ইতিহাস সংরক্ষিত হবে না, বিশ্বব্যাপী গণহত্যার আশঙ্কাও দূর হতে পারে। একাত্তরের শহীদদের পরিবার আর কত অপেক্ষা করবে?

গওহার নঈম ওয়ারা লেখক ও গবেষক [email protected]