বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা দিতে আদালতের অনুমতি আপাতত নিতেই হবে

সুপ্রিম কোর্ট
ফাইল ছবি

সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধি প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত অনুসন্ধান ও তদন্ত পর্যায়ে কাউকে বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা দিতে সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত হয়নি।

ওই রায় স্থগিত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির কাছে আবেদন করেছিল। আজ রোববার চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান কোনো স্থগিতাদেশ না দিয়ে আবেদনটি ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন।

বিদেশ যেতে কাউকে বিরত রাখতে যথাযথ আইন বা বিধি প্রণয়নের এখনই সময় উল্লেখ করে ১৬ মার্চ হাইকোর্ট একটি রায় দেন। রায়ে হাইকোর্ট বলেন, এ বিষয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধি প্রণয়ন না হচ্ছে, ততক্ষণ অনুসন্ধান ও তদন্ত পর্যায়ে কাউকে বিদেশ যেতে বিরত করতে হলে সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে অনুমতি নিতে হবে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ওই রায় দেন।

সেই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আবেদন করে, যা ২২ মার্চ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন রিট আবেদনকারী পক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২৮ মার্চ শুনানির তারিখ রাখেন। তার ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও মুন্সী মনিরুজ্জামান।

মুন্সী মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা দিতে সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে স্থগিতাদেশ দেননি চেম্বার আদালত। দুদকের করা আবেদনটি ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে। ফলে, আপাতত হাইকোর্টের ওই রায় বহাল থাকছে।

বিদেশ যেতে বাধা পেয়ে তার বৈধতা নিয়ে মো. আতাউর রহমানের করা রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণসহ ওই রায় দেন। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান থাকার কথা উল্লেখ করে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর দুদক এক চিঠিতে আতাউর যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ সুপার (এয়ারপোর্ট) বরাবর চিঠি দেয়। এই চিঠির বৈধতা নিয়ে আতাউর ওই আবেদন করেন।

আজকের আদেশের ফলে রিটকারী আতাউর রহমানের বিদেশ যেতে বাধা নেই বলে জানান তাঁর আইনজীবী মুন্সী মনিরুজ্জামান।