বিদেশগামী কর্মী: যাঁরা পাবেন ফাইজারের টিকা, যাঁরা সিনোফার্মের
টিকা নিতে সুরক্ষা পোর্টালে বিদেশগামী কর্মীদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে। নিবন্ধনকারীদের মধ্যে সৌদি আরব ও কুয়েতগামীরা ফাইজারের টিকা পাবেন। ঢাকার সাতটি কেন্দ্রে প্রতিদিন ১ হাজার ৪০০ জন কর্মী এ টিকা নিতে পারবেন। এর বাইরে অন্য দেশে যাঁরা যাবেন, তাঁরা দেশের যেকোনো টিকাকেন্দ্রে সিনোফার্মের টিকা নিতে পারবেন।
আজ বিকেলে অনলাইনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বিদেশগামীদের টিকা নিবন্ধনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিদেশগামীদের জন্য টিকা নিবন্ধনের পোর্টাল সুরক্ষায় নতুন একটি বাটন যুক্ত করা হয়েছে। নিবন্ধন (পাসপোর্ট) নামের এ বাটনে ঢুকে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন বিদেশগামীরা। যাঁদের বিএমইটি নিবন্ধন আছে, তাঁরা আজ সোমবার থেকেই টিকার নিবন্ধন করতে পারবেন।
ইমরান আহমদ বলেন, কয়েক দিন ধরে টিকার জন্য প্রবাসীরা বিভিন্ন জায়গায় ভিড় করেছেন। তাঁরা এমনিতেই অনেক কষ্ট করেন। তাঁদের কষ্ট কমাতে মন্ত্রণালয় এখন ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। তাঁদের যেকোনো সমস্যা সমাধান করা হবে। যাতে প্রবাসীরা শান্তিতে বিদেশে যেতে পারেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, সুরক্ষা পোর্টালের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অনেকগুলো অংশীদার জড়িত আছে। তারা সবাই বিনা পয়সায় সেবা দিচ্ছে। টিকা প্রদানের সুরক্ষা পোর্টাল বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। সংক্রমণ এড়িয়ে অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা প্রদানের এই প্রক্রিয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি বড় দৃষ্টান্ত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, সৌদি আরব ও কুয়েতগামীদের জন্য ফাইজার ও মডার্নার টিকা লাগবে। অন্য দেশে এমন কোনো শর্ত নেই। তাই অপেক্ষমাণ বিদেশগামী সবাই টিকা পাবেন। সক্ষমতা না থাকায় ফাইজারের টিকা ঢাকার বাইরে নেওয়া যাচ্ছে না। তবে মডার্নার টিকা সিটি করপোরেশন পর্যন্ত নেওয়া যাবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নিবন্ধিত কর্মীর সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে এসএমএস পাঠানো হবে। প্রতিটি কেন্দ্রের সক্ষমতার ওপর এটি নির্ভর করবে। তবে টিকা গ্রহণের তারিখের অন্তত এক দিন আগে এসএমএস পাঠানো হবে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক ডোজ টিকা নেওয়ার ১৪ দিন পর গেলে সৌদি আরব কোয়ারেন্টিন ছাড়া ঢুকতে দেবে। এতে কোয়ারেন্টিনের খরচ সাশ্রয় হবে। তবে প্রত্যেক কর্মীর দুই ডোজ টিকা নিয়ে বিদেশে যাওয়া ভালো হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব এ এম জিয়াউল আলম। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তর, পাসপোর্ট অধিদপ্তরসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশ নেন। শুরুতে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া দেখানো হয় অনুষ্ঠানে।
ফাইজারের টিকার জন্য ঢাকার সাতটি কেন্দ্র হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।
টিকার জন্য নিবন্ধন করার লিংক: https://surokkha. gov.bd/foreigner-enroll