বিশ্ব ঐতিহ্যের সম্ভাব্য তালিকায় দেশের ২১৫টি প্রত্নস্থান

জাতীয় সংসদ ভবন
ফাইল ছবি

ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের সম্ভাব্য (টেনটেটিভ) তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য দেশের আরও ২১৫টি প্রত্নস্থানকে নির্বাচন করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। ‘আপডেটিং দ্য টেনটেটিভ লিস্ট অব বাংলাদেশ’ কর্মসূচির আওতায় এসব স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং ইউনেসকোর অর্থায়নে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

নির্বাচিত স্থানের মধ্যে রয়েছে ‘আর্কিওলজিক্যাল সেটেলমেন্টস অন লিটারেল ল্যান্ডস্কেপ অব সাউথ ওয়েস্টার্ন পার্ট অব বাংলাদেশ’ বিভাগে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৭টি প্রত্নস্থান, ‘ব্রিক বিল্ট মোগল মসকিউ ইন বাংলাদেশ’ বিভাগে বাংলাদেশের মোগল আমলের ৩০টি মসজিদ রয়েছে।

‘কালচারাল ল্যান্ডস্কেপ অব মহাস্থান অ্যান্ড করোতোয়া রিভার’ বিভাগে মহাস্থান অঞ্চলের ৮৪টি প্রত্নস্থল, ‘আর্কিওলজিক্যাল সাইটস অ্যান্ড ল্যান্ডস্কেপ অব লালমাই-ময়নামতি’ বিভাগে লালমাই-ময়নামতি অঞ্চলের ২১টি প্রত্নস্থল জায়গা পেয়েছে।

লালবাগ কেল্লা
ছবি: সাইফুল ইসলাম

‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি কমপ্লেক্স বাংলাদেশ’ বিভাগে জাতীয় সংসদ ভবন, ‘দ্য আর্কিটেকচারাল ওয়ার্ক অব মাজহারুল ইসলাম, অ্যান আউটস্ট্যান্ডিং কন্ট্রিবিউশন টু দ্য মডার্ন মুভমেন্ট ইন সাউথ এশিয়া’ বিভাগে স্থপতি মাজহারুল ইসলামের নকশা করা ১৬টি স্থাপনা, ‘মোগল ফোর্টস অব ঢাকা: অ্যাডাপ্টিভ স্টাইল অব মোগল ফোর্টস অন ফ্লুভিয়াল ট্রেইন’ বিভাগে লালবাগ কেল্লা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী তিনটি জলদুর্গ এবং ‘মোগল অ্যান্ড কলোনিয়াল ব্রিক টেমপেলস অব বাংলাদেশ’ বিভাগে মোগল এবং ঔপনিবেশিক সময়ের ৩৩টি মন্দির নির্বাচিত তালিকায় স্থান পেয়েছে।

‘বাংলাদেশের ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্য সম্ভাব্য তালিকা হালনাগাদকরণ কর্মসূচির সর্বশেষ অবহিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন, অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. আতাউর রহমান, উপপরিচালক মো. আমিরুজ্জামান; অনলাইনে যুক্ত হন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন, ইউনেসকো বাংলাদেশ প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন প্রমুখ।

অনলাইনে ‘সম্ভাব্য তালিকা হালনাগাদকরণ প্রক্রিয়া’ উপস্থাপনা করেন আইসিওএমওএস বাংলাদেশের সভাপতি শরীফ শামস। হালনাগাদ করা তালিকা নিয়ে আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক স্বাধীন সেন ও এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আবু সাঈদ এম আহমেদ।

সেমিনারে জানানো হয়, ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় একটি স্থান স্বীকৃতি পাওয়ার প্রথম ধাপ হলো এই সম্ভাব্য তালিকা বা টেনটেটিভ লিস্ট। ইউনেসকোর সহযোগিতায় অধিদপ্তর সেই তালিকা তৈরি এবং হালনাগাদ করেছে। পরে এগুলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তারা স্থানগুলো যাচাই-বাছাই এবং অন্যান্য আইনি জটিলতার বিষয়গুলো বিবেচনার পর যে প্রস্তাবগুলো ঠিক করবে, সেগুলো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য ইউনেসকোতে পাঠানো হবে।