বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের হামলায় বিশ্বজিৎ দাস নিহত হন। প্রথম আলো ফাইল ছবি।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের হামলায় বিশ্বজিৎ দাস নিহত হন। প্রথম আলো ফাইল ছবি।

পুরান ঢাকার দরজি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। ৮০ পৃষ্ঠার রায়ের একটি পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি রাষ্ট্রপক্ষ আজ বুধবার হাতে পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল।

বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামির মধ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, চারজনের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন এবং অপর দুজনকে খালাস দিয়ে ৬ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে যে দুজন আপিল করেন, তাঁরা খালাস পেয়েছিলেন।

নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া খালাসপ্রাপ্ত দুজন হলেন সাইফুল ইসলাম ও কাইয়ুম মিয়া। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামির মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া চার আসামি হলেন মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন, ইমদাদুল হক ও নূরে আলম (পলাতক) ওরফে লিমন। এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দুই আসামি হলেন রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল ও রাজন তালুকদার (পলাতক)। নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডিত ১৩ আসামির মধ্যে দুজন খালাস পেয়েছেন। তাঁরা হলেন এইচ এম কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া অপর ১১ আসামির সবাই পলাতক। তাঁদের ব্যাপারে আদালত কোনো মন্তব্য করেননি।

আসামিদের সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর সকালে পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। দেশব্যাপী আলোড়ন তোলা ওই হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ রায় দেন। বিচারিক আদালতের রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।