বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ওসমান চৌধুরী আর নেই

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার আবু ওসমান চৌধুরী
ছবি: ফেসবুক

সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শনিবার সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। আবু ওসমান চৌধুরী সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সহসভাপতি ছিলেন। সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবীব প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

আবু ওসমান চৌধুরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে অসুস্থতার কারণে তাঁকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। এরপর পরীক্ষায় তাঁর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। পরে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর করোনাভাইরাস নেগেটিভ আসে। তবে অন্য জটিলতার কারণে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

আবু ওসমান চৌধুরীর মেয়ে নাসিমা তারিক জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর বাবাকে আজ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আজ সকালে তিনি মারা যান।

হারুন হাবীব জানান, রাষ্ট্রীয় ও সেনাবাহিনীর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে আবু ওসমান চৌধুরীকে দাফন করা হবে।

আবু ওসমান চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাসস জানায়, এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আবু ওসমান চৌধুরীর অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

আবু ওসমান চৌধুরীর মেয়ে নাসিমা তারিক জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর বাবাকে আজ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আজ সকালে তিনি মারা যান।

হারুন হাবীব জানান, রাষ্ট্রীয় ও সেনাবাহিনীর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে আবু ওসমান চৌধুরীকে দাফন করা হবে।

আবু ওসমান চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাসস জানায়, এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আবু ওসমান চৌধুরীর অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

রাষ্ট্রপতি মরহুম আবু ওসমান চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আবু ওসমান চৌধুরীর বীরত্বপূর্ণ অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা বাস্তবায়ন এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে এই বীর সেনানীর অনবদ্য ভূমিকা সব সময় আমাদের প্রেরণা জোগাবে। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

আবু ওসমান চৌধুরী ১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনেরগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে কমিশন পান। ১৯৬৮ সালের এপ্রিলে তিনি পদোন্নতি পেয়ে মেজর হন।

রাষ্ট্রপতি মরহুম আবু ওসমান চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আবু ওসমান চৌধুরীর বীরত্বপূর্ণ অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা বাস্তবায়ন এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে এই বীর সেনানীর অনবদ্য ভূমিকা সব সময় আমাদের প্রেরণা জোগাবে। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

আবু ওসমান চৌধুরী ১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনেরগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে কমিশন পান। ১৯৬৮ সালের এপ্রিলে তিনি পদোন্নতি পেয়ে মেজর হন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আবু ওসমান চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মেজর পদে কুষ্টিয়ায় কর্মরত ছিলেন। অপারেশন সার্চলাইটের সংবাদ পেয়ে ২৬ মার্চ বেলা ১১টায় তিনি চুয়াডাঙার ঘাঁটিতে পৌঁছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করে। মে মাসের শেষার্ধে প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গনকে দুই ভাগ করে ৮ ও ৯ নম্বর সেক্টর গঠন করেন। ৮ নম্বর সেক্টরের দায়িত্বে আবু ওসমান চৌধুরীকে নিয়োগ করা হয়। প্রাথমিকভাবে সে সময় ওই সেক্টরের অপারেশন এলাকা ছিল কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর ও পটুয়াখালী জেলা।