বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই ৯ জানুয়ারির বদলে ৩০ জানুয়ারি

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়

৯ জানুয়ারির পরিবর্তে ৩০ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম ৯ জানুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার তা স্থগিত করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। আজ যাচাই-বাছাইয়ের নতুন তারিখ জানানো হলো।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০০২-এর ধারা ৭ (ঝ) ব্যত্যয় ঘটিয়ে জামুকার সুপারিশবিহীন শুধু বেসামরিক গেজেট নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম ৯ জানুয়ারির পরিবর্তে ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

জামুকার ৭১তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেসামরিক গেজেট নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে যাচাইযোগ্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এদিন (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে, মহানগরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাক্ষ্য, তথ্য-উপাত্তসহ উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

জামুকার সুপারিশ ছাড়া যাঁদের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেসামরিক গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে—এমন ৩৮ হাজার ৩৮৬ জনের তালিকা ৩০ জানুয়ারি যাচাই-বাছাই করা হবে। তাঁদের তালিকা গতকাল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

যাচাই-বাছাইয়ের আওতাভুক্ত তালিকা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.molwa.gov.bd) এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে (www.jamuka.gov.bd) পাওয়া যাবে।

এর আগে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ৩৯ হাজার ৯৬১ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বীকৃত বিভিন্ন প্রমাণপত্রে নাম থাকার পরও অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম যাচাই-বাছাইয়ের তালিকায় রয়েছে। পরে এই তালিকা থেকে ১ হাজার ৫৯৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম বাদ দেওয়া হয়।

জামুকার ৭১তম সভায় তাদের অনুমোদন ছাড়া যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম বেসামরিক গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে, তা যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়। প্রথমে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাচাইয়ের কাজটি শেষ করতে চেয়েছিল জামুকা। পরে ৯ জানুয়ারি যাচাই-বাছাইয়ের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়। এখন যাচাই-বাছাইয়ের নতুন তারিখ ৩০ জানুয়ারি ঠিক করা হলো।