বৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেওয়া তিনজন কারাগারে

কারাগার
প্রতীকী ছবি

মুঠোফোনে পাঠানো বৃত্তির টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেওয়া প্রতারকদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা–সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।। ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এই ব্যক্তিরা হলেন আসাদুল ইসলাম, আবু বকর সিদ্দিক ও খবিরুল ইসলাম। সম্প্রতি তাঁদের গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়।

দেশে এখন শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা মুঠোফোনে আর্থিক সেবা বা এমএফএসের মাধ্যমে পাঠানো হয়। গত কয়েক মাসে শিক্ষার্থীর অভিবাবকদের মুঠোফোনে পাঠানো টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেন প্রতারকেরা। তাঁরা ফোন করে নানা কথা বলে ব্যবহারকারীর গোপন পিন নম্বর জেনে নিয়ে এই প্রতারণা করেন।

প্রতারণার ঘটনায় এমএফএস প্রতিষ্ঠান নগদের পক্ষ থেকে গত ২ এপ্রিল অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে রাজধানীর বনানী থানায় একটি মামলা করা হয়। এ মামলায় ওই তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও গণসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ইফতেখারুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, আরও যারা ডিজিটাল জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

এদিকে প্রথম আলোকে দেওয়া এক বক্তব্যে নগদ বলেছে, কোনো গ্রাহক যদি তাঁর চার ডিজিটের গোপন পিন অন্য কাউকে না জানান, তাহলে কোনো অবস্থাতেই নগদের প্রযুক্তি পদ্ধতি ভেঙে টাকা তুলে নেওয়া সম্ভব নয়। তারা সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রতারকেরা আর সাধারণ গ্রাহকদের ধোঁকা দিতে পারছে না।

নগদ জানায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির দ্বিতীয় কিস্তির টাকা সফলভাবে বিতরণ করা হয়েছে। প্রতারণার নতুন অভিযোগ আসেনি। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাধারণ গ্রাহকদের সচেতনতা বাড়ানোসহ আরও অনেকগুলো প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ফল হিসেবে আমরা ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ করছি।’