বেতন স্কেলের গেজেটে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার দাবি

জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলনে
ছবি: প্রথম আলো

ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা পদে বেতন স্কেল উন্নীতের গেজেটের ওপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতি। আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সমিতির সদস্য ও ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তাদের হালনাগাদ বেতন স্কেল উন্নীত করে ২০১০ সালের ৩ জুন গেজেটে প্রকাশিত হয়। ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক গেজেটে ওই বেতন স্কেল স্থগিত করা হয়।

ইউনিয়ন ভূমি অফিসে শূন্যপদ পূরণে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না জানিয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, অনেক সহকর্মী ইতিমধ্যে মারা গেছেন, অনেকে অবসরে গেছেন। প্রায় অর্ধেক পদ খালি হয়ে গেছে। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে উন্নীত বেতন স্কেল অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত গেজেটেড বেতন স্কেল বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক ও সমিতির সদস্য মো. রেজাউর রহমান বলেন, ‘১০ বছর আগে বেতন স্কেলের গেজেট হয়েছে, তবে বর্ধিত বেতন পাইনি। সরকারের কাছে একটাই দাবি, অনতিবিলম্বে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে বকেয়াসহ বেতন–ভাতাদি প্রদান করুন। কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে একই পদে আছেন।’

ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে ৫০ শতাংশকে কানুনগোর শূন্যপদে পদোন্নতি ও পদায়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ন্যায দাবি মানা না হলে বাধ্য হয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে হবে। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হলে আগামী ২৭ মার্চের পর কলম বিরতি দিয়ে নিজেদের প্রয়োজনীয়তা জানাতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাত হাজারের বেশি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা পদের বিপরীতে এখন কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় অর্ধেক।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক জিয়াউল হক, স্বাধীনতা ভূমি অফিসার্স পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।