বেলুন উড়িয়ে শুরু তারুণ্যের জয়গান

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আজ বুধবার সরকারি মুড়াপাড়া কলেজে ‘আলোর পথে প্রীতির সাথে’ তারুণ্যের জয়োৎসব অনুষ্ঠান হয়। প্রথম আলো বন্ধুসভা, কিশোর আলো ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর আয়োজন করে। ছবি: দিনার মাহমুদ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আজ বুধবার সরকারি মুড়াপাড়া কলেজে ‘আলোর পথে প্রীতির সাথে’ তারুণ্যের জয়োৎসব অনুষ্ঠান হয়। প্রথম আলো বন্ধুসভা, কিশোর আলো ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর আয়োজন করে। ছবি: দিনার মাহমুদ

‘আলোর পথে প্রীতির সাথে’ স্লোগানে আজ বুধবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া এলাকার সরকারি মুড়াপাড়া কলেজে দিনব্যাপী চলছে তারুণ্যের জয়গান। প্রথম আলো বন্ধুসভা, কিশোর আলো ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ‘সম্প্রীতি’ প্রকল্পের আওতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বেলা ১১টার দিকে সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের মাঠে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কলেজের বীরপ্রতীক গাজী অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর মো. সালেহ, নাট্যকার ও সাংবাদিক আবদুল মোমেন, কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক পাভেল মহিতুল আলম, কলেজের প্রভাষক হোসনে আরা বেগম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাভেল মহিতুল আলম বলেন, ‘আমরা সম্প্রীতির কথা বলতে এসেছি। আমরা প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সহিংস ঘটনা দেখতে পাই। এই সহিংসতা কখনোই আমাদের কাম্য না। আমরা কোনো সহিংসতা চাই না, আমরা সহনশীল হব। উগ্রবাদের পক্ষে আমরা থাকব না, আমরা কখনো সহিংসতা ছড়াব না। আমরা থাকব আলোর পথে, প্রীতির সাথে। আমরা চাই, বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর মানুষ শান্তিতে থাকুক।’

কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর মো. সালেহ তাঁর বক্তব্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয় গ্রিন হার্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের নাচ পরিবেশনে মধ্য দিয়ে। এ ছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও সংগীত পরিবেশ ও কবিতা আবৃত্তি করেন।

পরে তরুণ-তরুণীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন আলোকচিত্রী প্রীত রেজা। তিনি বলেন, ‘আমি অতটা মেধাবী নই। সেটি আমি জানি। কিন্তু কখনো হতাশ হইনি। শুধু পরিশ্রমটা একটু বেশি করতে হয়েছে, এই যা। মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার মধ্যে কোনো স্মার্টনেস নেই। বার্গার খেয়ে চেক ইন দেওয়ার চেয়ে বেশি স্মার্ট হবে রক্ত দিয়ে একটা মানুষের জীবন বাঁচানো। বড় বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। নিজের দুর্বলতা কী, সেটা জেনে কাজ করতে হবে। না হলে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।’

পরে কলেজের মেয়েদের ঝুঁকিপূর্ণ ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে ‘নিরাপদ ইন্টারনেট’ ব্যবহারের ওপর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন পাভেল মহিতুল আলম।