দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৩(৩) বিধি অনুসারে তফসিলভুক্ত অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে অভিযোগ কোনো ব্যক্তি কর্তৃক সরাসরি আদালতে দায়ের করা যাবে না—এ বিধি প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।
দুদক নিজেই মামলা করার ক্ষমতাসংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ সংশোধন করে ২০১৯ সালের ২০ জুন গেজেট জারি করে।
সংশোধনীর কয়েকটি বিধি চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ১৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস ও নওশীন নাওয়াল একটি রিট করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে থানার পরিবর্তে দুদক কার্যালয়ে এজাহার গ্রহণ করার নিয়ম কেন বাতিল ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
আগের রিটের ধারাবাহিকতায় দুদক বিধিমালার ১৩(৩) বিধি নিয়ে গত ৯ জুন সম্পূরক আবেদনটি করা হয় বলে জানান রিট আবেদনকারী সুবীর নন্দী দাস।
সুবীর নন্দী দাস প্রথম আলোকে বলেন, দুদক বিধিমালার ১৩(৩) বিধি কেন বাতিল ও সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।