ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আ.লীগ নেতা জহিরুল হত্যায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
পাঁচ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা জহিরুল হক হত্যা মামলায় ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আটজনকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া।
দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে ১৬ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন। বাকি পাঁচ আসামি পলাতক।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন বসু মিয়া, কবির মিয়া, মোখলেছ মিয়া, সাচ্চু মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, শহিবুর রহমান, লিয়াকত আলী, ইউনুস মিয়া, রহমত উল্লাহ, শিথিল আহমেদ, সাইফুল, পাভেল ও আলিম মিয়া। রহমত, শিখিল, সাইফুল, পাভেল ও আলিম পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন নুরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, রাসেল, মাজু মিয়া, গোলাপ মিয়া, সোহেল মিয়া, শাহজাহান ও বোরহান ওরফে রোহান।
সরকারি কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, পূর্ববিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুলকে খুন করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ভাই কবির হোসেন বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে জহিরুলকে হত্যার ঘটনায় ২১ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ঘটনার দিন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে নিজ গ্রাম পয়াগের বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় আসামি বসু, হাবিবুর, শহিবুর, কবির, সাচ্চু, মোখলেছ, বোরহান, শিথিল, রহমতসহ অন্যরা ঘটনাস্থলের আশপাশে অবস্থান নেন। পরে দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে আসামিরা জহিরুলকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটকান। এ সময় জহিরুলকে আসামিরা কুপিয়ে জখম করেন। একই সঙ্গে সিএনজিচালক গোলাপ মিয়াকেও আঘাত করেন। সেদিন রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জহিরুল মারা যান।