ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার ঘটনায় আরও দুটি মামলা

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে গত রোববার খাটিহাতা হাইওয়ে থানায় হামলা করেন হরতাল-সমর্থকেরা
ফাইল ছবি, প্রথম আলো।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত রোববার হেফাজতে ইসলামের হরতালের সময় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে আজ মঙ্গলবার মামলা দুটি করা হয়। সহিংসতার ঘটনায় এ নিয়ে সাতটি মামলা হলো।

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার হেফাজতের হরতালের সময় আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার কাউন্টার ও পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আজ দুটি মামলা হয়। টোলপ্লাজার কাউন্টার ভাঙচুরের ঘটনায় জয়নাল আবেদীন নামের এক কর্মকর্তা ও পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সার্জেন্ট জহিরুল হক বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলায় ৪০০ থেকে ৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
এদিকে ঘটনার পাঁচ দিন পার হলেও ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

গত শুক্রবার ও রোববার হেফাজতের নেতা-কর্মীদের হামলায় সরকারি ও বেসরকারি কতটি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জেলা প্রশাসন আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত দিতে পারেনি। জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান আজ বিকেল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রোববার হেফাজতের হরতাল পালনের সময় জেলা শহরের সাতটি, সরাইলে একটি ও আশুগঞ্জে দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। জেলা শহরের সাতটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, সুরসম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়সহ চারজন আওয়ামী লীগের নেতার বসতবাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। আর দুটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর হয়। এর আগে শুক্রবার বিকেলে সরকারি আরও সাতটি প্রতিষ্ঠানে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বাসভবনে হামলা চালানো হয়।

হামলা ঠেকাতে প্রশাসন সক্রিয় ছিল না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. রহিছ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ভিডিও চিত্র, স্থিরচিত্র ও বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর তালিকা পুলিশের কাছে রয়েছে। ৮০ জনের বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান রহিছ উদ্দিন।