ব্লগার ওয়াশিকুর হত্যা মামলার বিচার শুরু

ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান ওরফে বাবু হত্যা মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পাঁচ সদস্যের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৪ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এ আদেশ দেন। এর মাধ্যমে এ মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হলো।

সংশ্লিষ্টøআদালতের সরকারি কৌঁসুলি আসাদুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলায় পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজন কারাগারে আটক আছেন। তাঁরা হলেন জিকরুল্লাহ ওরফে হাসান, আরিফুল ইসলাম ওরফে মুশফিক ওরফে এরফান, সাইফুল ইসলাম ওরফে মানসুর। তিন আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। বাকি দুজন পলাতক রয়েছেন। তাঁদের অনুপস্থিতিতেই মামলার বিচারকাজ চলবে।

আরেক সরকারি কৌঁসুলি সালাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, পলাতক দুই আসামি জুনেদ ওরফে জুনায়েদ আহমেদ ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবদুল্লাহর পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে দুজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

২০১৫ সালের ৩০ মার্চ রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের বেগুনবাড়িতে দুর্বৃত্তদের চাপাতির আঘাতে খুন হন ব্লগার ওয়াশিকুর। এ ঘটনার পরপরই জনতা ধাওয়া করে মাদ্রাসাছাত্র জিকরুল্লাহ ও আরিফুলকে ধরে ফেলে। আর সাইফুলকে হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন আগেই অস্ত্রসহ যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এই হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এ মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। হত্যাকাণ্ডের পরদিন চারজনকে আসামি করে তেঁজগাও শিল্পাঞ্চল থানায় এ মামলা করেন ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মনির হোসেন।

ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর আনসারুল্লাহর পাঁচ সদস্যকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, পলাতক আসামি আবদুল্লাহ হত্যার পুরো বিষয়টি পরিকল্পনা করেছিলেন এবং বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছিলেন। মামলায় ৪০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৩ সালে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে খুন করা হয়। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ব্লগার রাজীব হায়দারকে হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরও পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন আদালত।