‘ভাত দিন, না হয় পর্যটনকেন্দ্র খুলে দিন’

অবিলম্বে কক্সবাজার পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসাসংশ্লিষ্ট ১৫টি বেসরকারি সংগঠনের নেতারা। শর্ত সাপেক্ষে হলেও কক্সবাজারের পর্যটনকেন্দ্রের সঙ্গে জড়িত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হোটেলগুলো চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা। আজ রোববার দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন ব্যবসায়ী নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের জীবন–জীবিকা ও আর্থিক দৈন্যতার কথা তুলে ধরে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের উপদেষ্টা মফিজুর রহমান বলেন, কক্সবাজার পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় তিন লাখ মানুষের জীবন–জীবিকা হুমকিতে পড়েছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও এই খাতকে উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। মফিজুর বলেন, ‘সরকার সবকিছু যেমন সীমিত আকারে খুলে দিয়েছে, ঠিক তেমনি কক্সবাজারের পর্যটনকেন্দ্রও শর্ত সাপেক্ষে হলেও সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হোক।’

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্টহাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, ‘ভাত দিন, না হয় পর্যটনকেন্দ্র খুলে দিন। আর কত দিন উপোষ থাকব? আমরা ধারদেনা ও ঋণে জর্জরিত। শিল্পকারখানা, গণপরিবহনসহ সব চললে শুধু পর্যটন খাত কেন বন্ধ? সরকারি প্রজ্ঞাপনে হোটেল-মোটেল জোন খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও জেলা প্রশাসন তা আটকে রেখেছে। স্থানীয় প্রশাসন কেন এমন করছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমাদের ভাতের নিশ্চয়তা দিয়ে পর্যটন খাত বন্ধ রাখুন। তাতে আমাদের আপত্তি থাকবে না।’

গত বছর করোনার কারণে দেশের পর্যটন খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের প্রায় হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান। চলমান পরিস্থিতি বর্ধিত হলে গেল বছরের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।

চলতি বছরের এপ্রিলের শুরু থেকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের সমাগম নিষিদ্ধ করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। এতে গত আড়াই মাস ধরে কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল–মোটেল বন্ধ রয়েছে।