ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক যেকোনো সময়ের চেয়ে উষ্ণ: কাদের

ওবায়দুল কাদের ও রীভা গাঙ্গুলি দাশ
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে উষ্ণ, মসৃণ এবং ভবিষ্যৎমুখী।

কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কূটনৈতিক দক্ষতা দিয়ে বৈরিতার বিপরীতে গড়ে তুলেছে আস্থার সম্পর্ক, যা পারস্পরিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে এখন একে অপরের সহায়ক।

ওবায়দুল কাদের আজ রোববার সকালে ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প এবং অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন। সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন মন্ত্রী।
এ সময় অনলইন প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ভারত-বাংলাদেশ পারস্পরিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে দুই দেশ একে অপরের সহায়ক, তারই ধারাবাহিকতায় ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় যৌথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প; সে বিষয়গুলো তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। উভয় দেশের বন্ধুত্ব সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে উষ্ণ, মসৃণ এবং ভবিষ্যৎমুখী। ভারত আমাদের বড় প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক থাকলে পিপল টু পিপল কানেক্টিভিটি হলে দুই দেশের মধ্যকার অনেক অমীমাংসিত সমস্যা সহজে সমাধান সম্ভব। তার প্রমাণ ছিটমহল বিনিময়, সীমান্ত সমস্যাসহ অনেক সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ।’

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে কোনো কোনো সরকার বৈরিতার পর্যায়ে নিয়ে যায়। শেখ হাসিনা সরকার কূটনৈতিক দক্ষতা দিয়ে বৈরিতার বিপরীতে গড়ে তুলেছে আস্থার সম্পর্ক, যা পারস্পরিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে এখন একে অপরের সহায়ক। তারই ধারাবাহিকতায় ঋণ কর্মসূচির আওতায় আমরা বাস্তবায়ন করছি বেশ কিছু প্রকল্প।’

মন্ত্রণালয়সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে ঋণ কর্মসূচির আওতায় প্রকল্পগুলোর কাজ শুরু হতে বেশি সময় লাগছে। সমীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করা, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সম্মতি, ইন্ডিয়ান এক্সিম ব্যাংকের কনকারেন্সসহ আমাদের অংশের কার্যক্রম সব মিলিয়ে প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। এলওসির আওতায় প্রকল্পগুলোর কাজ এগিয়ে নিতে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ, প্রকল্পগুলো দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আগ্রহে যে প্রকল্প দেওয়া হয়েছে, তা এগিয়ে নিতে হবে উন্নয়নের স্বার্থেই। দাপ্তরিক যোগাযোগসহ অন্যান্য যোগাযোগ দ্রুততার সাথে শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে আমাকে জানাবেন, আমি কথা বলব।’