ভারতে শতকোটি মানুষকে টিকা দেওয়ায় মোদিকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
ফাইল ছবি

বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ভারত গত বৃহস্পতিবার ১০০ কোটি টিকাকরণের মাইলফলক পার করেছে। টিকা প্রদানের ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। গতকাল রোববার তিনি মোদিকে অভিনন্দন জানান।

মোদিকে পাঠানো এক বার্তায় শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, মানবজাতির ওপর কোভিড-১৯ মহামারির সব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। তিনি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এটি ভারত ও এই অঞ্চলের পুনরুদ্ধার এবং স্বাভাবিকতার পথে একটি বড় পদক্ষেপ হবে। মোদিকে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, তাঁর সরকার বাংলাদেশে একটি গণটিকা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা কর্মসূচির প্রথম থেকেই ভারত বাংলাদেশের জন্য কোভিড-১৯ টিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা রপ্তানি পুনরায় শুরু করার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা করেন, আগামী দিনে এই ক্রয় নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত থাকবে। কোভিড-১৯ মহামারির প্রকোপ থেকে এ অঞ্চলের জনগণকে রক্ষা করতে এবং এই মহামারির বহুমুখী প্রতিকূল পরিণতি মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেন।

ভারতের আগে একই কৃতিত্বের দাবিদার একমাত্র চীন। গত জুনে তারা ১০০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার মাইলফলক অর্জন করে। ১০০ কোটি টিকা দেওয়ার মাইলফলক অর্জন করতে ভারতের ৯ মাসের কিছুটা বেশি সময় লেগেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়। তারা ৯ মাস ৫ দিনে ১০০ কোটি টিকাকরণের মাইলফলক স্পর্শ করে।

ভারত সরকারের ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান এন কে অরোরা বৃহস্পতিবার বলেন, ১০০ কোটির টিকাকরণের মাইলফলক অর্জন করতে ৯ মাসের কিছুটা বেশি সময় লেগেছে। তবে পরবর্তী ১০০ কোটি টিকাকরণে তিন থেকে চার মাস সময় লাগতে পারে।

ভারতে সবচেয়ে বেশি টিকাদান হয়েছে উত্তর প্রদেশে। এই সংখ্যা ১২ কোটির বেশি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তৃতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। মোদি-রাজ্য গুজরাট এবং মধ্য প্রদেশ যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম।