ভালুকায় বাড়িতেই সেরে ওঠেন কোভিড থেকে সুস্থদের ৮৮ শতাংশ

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন মোসফেক-ওস-সালেহীন। হাসপাতালের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন তিনি। গত ১৫ মে নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। তিনি বাসায় থেকেই সুস্থ হয়েছেন। ২১ দিন পর আবারও ফিরেছেন কর্মস্থলে, রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।


গতকাল রোববার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পিপিই পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন মোসফেক-ওস-সালেহীন। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সব সময় মুখে মাস্ক পরে থাকাসহ রোগীদের নানা পরামর্শ দিচ্ছিলেন তিনি। গাজীপুর সদরের বাসিন্দা এই চিকিৎসক প্রথম আলোকে বলেন, গত ১৩ মে তাঁর চোখের চার পাশে ব্যথা শুরু হয়। ওই দিনই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোহেলী শারমিনের পরামর্শে তিনি নমুনা দেন। করোনা পজিটিভ ফল পাওয়ার পর তিনি আইসোলেশনে ছিলেন। চিকিৎসকদের কাছ থেকে মুঠোফোনে পরামর্শ নিয়ে সেভাবে চলেছেন।


শুধু মোসফেক নন, এই হাসপাতালের আরও দুুই চিকিৎসকসহ উপজেলার নানা পেশার মোট ২৩৬ জন কোভিড–১৯ রোগী। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৪২ জন। এর মধ্যে বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২৫ জন। অর্থাৎ, বাড়িতে থেকে সুস্থতার হার ৮৮ শতাংশ। বাকি ১২ শতাংশ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯ শতাংশ পুলিশ আর ৩শতাংশ অন্য শ্রেণি–পেশার মানুষ।


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভালুকায় শিল্প পুলিশের ১৭ জন সদস্য করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁরা সবাই পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর ভালুকা মডেল থানা–পুলিশের চারজন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন হাসপাতালে এবং একজন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।


উপজেলায় করোনার সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোহেলী শারমীন বলেন, এক সপ্তাহ ধরে উপজেলায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা বেশ কমেছে। গত শনিবার পর্যন্ত উপজেলায় মোট কোভিড–১৯ রোগীর সংখ্যা ২৩৬ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৪২ জন। সুস্থতার হার ৬০ শতাংশের বেশি।


গত ১৯ এপ্রিল উপজেলায় প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত মারা গেছেন তিনজন।