ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের মোহনায়

আজ ৩ ডিসেম্বর। বাংলা একাডেমির ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের জন্ম।

১৯৭১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির সপ্তাহব্যাপী একুশের অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন করছেন বঙ্গবন্ধু। মঞ্চে (বাঁ থেকে) সরদার ফজলুল করিম, কবীর চৌধুরী ও সৈয়দ মুর্তাজা আলী। ছবির সূত্র: বাংলা একাডেমি চল্লিশ বছর পূর্তি স্মারকগ্রন্থ, ১৯৯৬

একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবী আনোয়ার পাশার কালজয়ী উপন্যাস রাইফেল রোটি আওরাত উপন্যাসের চরিত্র সুদীপ্ত ও ফিরোজকে আমরা পাকিস্তানি হানাদারদের ধ্বংসলীলায় বিধ্বস্ত বাংলার প্রিয় ঢাকা নগরে হাঁটতে দেখি। উপন্যাসের শেষভাগে এক উপলব্ধি ও বিস্ময়ে তাদের আমরা আবিষ্কার করি রমনা কালীমন্দির ও বাংলা একাডেমির সামনে, ‘একটু এগিয়ে এক পাশে কতোকালের প্রাচীন কালি-মন্দির। আর-এক পাশে বাংলা একাডেমি। দুটোই ছিল ওদের চক্ষুশূল। ওই দেখ না, গোলার আঘাতে বাংলা একাডেমির একাংশ কেমন ঝাঁঝরা করে দিয়েছে।’ (রাইফেল রোটি আওরাত, আনোয়ার পাশা, স্টুডেন্ট ওয়েজ, প্রথম প্রকাশ ১৯৭৩)

ঘাতকদের চক্ষুশূল তো বাংলা একাডেমির হওয়ারই কথা। কারণ, বাংলা একাডেমি নেহাত একটি নাম বা কয়েকটি ভবন নয়, বাঙালির প্রাণের প্রতিষ্ঠান। পৃথিবীর নানা দেশে ভাষা ও সাহিত্য গবেষণাকেন্দ্রিক বহু প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু কোনোটিরই ভাষা আন্দোলনের মতো মহান সংগ্রামী-রক্তাক্ত পটভূমি নেই।

‘আমাদিগকে একটি একাডেমী (পরিষদ) গড়তে হবে, যার কর্ত্তব্য হবে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষা থেকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাহিত্য বিষয়ে শ্রেষ্ঠ গ্রন্থাবলীর অনুবাদ বাংলায় প্রকাশ। এজন্য এক পরিভাষা-সমিতির প্রয়োজন আছে।’ বহুভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌র এমন স্বপ্নকল্পনা ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদ স্মরণে ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে বিজয়ী যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার অন্যতম এক দফায় অবয়ব পায়, ‘বর্ধমান হাউসের পরিবর্তে কম বিলাসের বাড়িতে যুক্তফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান করা এবং বর্ধমান হাউসকে প্রথমে ছাত্রাবাস ও পরে বাংলা ভাষার গবেষণাগারে পরিণত করা।’

বৈচিত্র্য ও বিস্তৃতি

১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। তার আগেই একাডেমিকে ঘিরে বাংলাভাষী সব অঞ্চলেই কতটা চাঞ্চল্য ও আগ্রহ তৈরি হয়েছিল, তার আঁচ পাওয়া যায় ১৯৫৪ সালে বর্ধমান হাউস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক সাহিত্য সম্মেলনে আগত কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যে, ‘যে বর্ধমান রাজপ্রাসাদ নূরুল আমীনের বাসস্থান ছিল, সে প্রাসাদ আজ জনসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত। সে বাড়িতে বাংলা ভাষার আকাদেমি হবে। সম্মেলনের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা এই বাড়িতেই হয়েছিল। নূরুল আমীন কীভাবে দেশের মানুষের খুনে হাত রক্তাক্ত করেছে, প্রদর্শনী উপলক্ষে এই বাড়িতেই তার সচিত্র প্রমাণ উপস্থিত করা হয়েছিল। ভাগ্যের খুবই সামান্য একটু নিষ্ঠুর পরিহাস মাত্র।’ (বাংলা আমার, বাংলাদেশ, সুভাষ মুখোপাধ্যায়; জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী, ১৯৮৮)

প্রতিষ্ঠার পর বাংলা একাডেমি অনুবাদ, গবেষণা ও পাঠ্যপুস্তক প্রকাশসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের বৃত্ত ভেদ করে ক্রমেই হয়ে উঠেছে বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীকে। বাংলা একাডেমি কখনোই সংকীর্ণ সরলরেখায় চলেনি। তাই ‘প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’-এর প্রকাশক বাংলা একাডেমিরই গৌরবময় প্রকাশনা ‘বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’।

বাংলা একাডেমির বিভিন্ন অভিধান প্রণয়নে যুক্ত ছিলেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, মুহম্মদ এনামুল হক, শিবপ্রসন্ন লাহিড়ী, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, গোলাম মুরশিদ থেকে শুরু করে আবু ইসহাকের মতো বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিকও।

‘বিজ্ঞান বিশ্বকোষ’-এর প্রণয়ন করতে গিয়ে বাংলা একাডেমি বিস্মৃত হয় না যে ছোটদের অভিধান প্রণয়নের গুরুত্ব কম নয়। প্রাচীন চীন সভ্যতার ইতিহাস প্রকাশের পাশাপাশি একাডেমি প্রকাশ করেছে গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ, ইবসেন-শেক্‌সপিয়ার-জ্যাঁ আনুঈয়ের নাট্যানুবাদ প্রকাশের পাশাপাশি মুনীর চৌধুরীর রক্তাক্ত প্রান্তর, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর তরঙ্গভঙ্গ, আনিস চৌধুরীর অ্যালবাম নাটক, ফেরদৌসীর শাহনামা কাব্যের পূর্ণাঙ্গ বাংলা অনুবাদের পাশাপাশি সমগ্র নজরুল রচনা কিংবা চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিশ্বখ্যাত বইয়ের সমান্তরালে মার্ক্সীয় বিশ্ববীক্ষা। এসব কিছু একাডেমির প্রকাশনাচিন্তার বৈচিত্র্য ও বিস্তৃতিকেই প্রমাণ করে।

সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র

বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের পুরোনো দ্বিতল ভবন একসময় ছিল ঢাকার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। কালের পরিক্রমায় রবীন্দ্র-নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত এই ভবনে একাডেমি জাতীয় লেখক ও সাহিত্য জাদুঘর, ভাষা আন্দোলন জাদুঘর, লোকঐতিহ্য সংগ্রহশালা, নজরুল স্মৃতিকক্ষ, শহীদুল্লাহ্ গবেষণা-কক্ষ এবং বাংলা একাডেমি আর্কাইভস প্রতিষ্ঠা করে ইতিহাসের প্রতি তার অঙ্গীকারেরও প্রমাণ রেখেছে। একটি ভবনে এমন ছয়টি জাদুঘর ও সংগ্রহশালার অবস্থান সুদুর্লভ ঘটনা। আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তন, কবি জসীমউদ্‌দীন ভবন অথবা ভাস্কর নভেরা প্রদর্শনী কক্ষ—এসব শিরোনাম ঐতিহ্যের প্রতি একাডেমির অঙ্গীকার।

বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের বর্তমান অবস্থা। গতকাল বিকেলে
ছবি: সাইফুল ইসলাম

বাংলা একাডেমি বুদ্ধিবৃত্তি ও সংস্কৃতির কেন্দ্রমুখিনতা ভেঙে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্র এবং রংপুরের পায়রাবন্দে রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে।

পাকিস্তান আমলে বৈরী পরিবেশে বাংলা একাডেমি যেমন বিদেশিদের বাংলা ভাষা শিক্ষাদান কোর্স পরিচালনা করেছে, তেমনি কয়েক দশক ধরে তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাস্তবায়ন করে চলেছে স্বল্পমূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের প্রায় ১০০টি কোর্স।

চিত্ত যেথা ভয়শূন্য

বাংলা একাডেমি ১৯৭১ সালের একুশের অনুষ্ঠানমালায় পাকিস্তান সরকারের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে প্রধান অতিথি নির্বাচন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি সেদিন তাঁর সাহসী বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আমি ঘোষণা করছি, আমার দল ক্ষমতা গ্রহণের দিন থেকেই সব সরকারি অফিস-আদালত ও জাতীয় জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলা চালু করবে।’

১৯৬০-এর দশকে বাংলা একাডেমি হয়ে উঠেছিল স্বাধীনতাকামী বাঙালির সাংস্কৃতিক তৎপরতার অনন্য এক স্থান। ১৯৬৩-৭০ কালপর্বে বাংলা একাডেমি মিলনায়তন, বটতলা ও মাঠে প্রতিবাদী কবিতা, সংগীত, নৃত্যানুষ্ঠানের যে ঢল নেমেছিল, তা জনচিত্তকে আলোড়িত ও আন্দোলিত করেছিল। ছায়ানট, সংস্কৃতি সংসদ, ছাত্র ইউনিয়নসহ বহু সংগঠনের সাংস্কৃতিক চর্চা ও প্রকাশের উপযুক্ত ক্ষেত্র ছিল সেই সময়ের বাংলা একাডেমি। রক্তকরবী কিংবা বিদ্রোহী নৃত্যনাট্যের মঞ্চায়নের জন্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বাংলা একাডেমিকে বেছে নিয়েছিল যথাযথ জায়গা হিসেবে।

১৯৭১–এ বাংলা একাডেমি হয়ে ওঠে এক অভয় অঙ্গন। এরপর এখানে একাত্তরের অগ্নিপ্রহরে কবি-লেখক-সংস্কৃতিকর্মীরা সভা-সেমিনার-কবিতাপাঠের মধ্য দিয়ে নিয়েছেন স্বাধীনতার শপথ। আবু জাফর শামসুদ্দীন, আবদুল হক, কবীর চৌধুরী, সরদার ফজলুল করিম, ফজলে রাব্বী প্রমুখের দিনলিপি আর আত্মকথায় উদ্ভাসিত হয়েছে একাত্তরে বহুমুখী চাপ, নজরদারি আর জেলজুলুমের মুখোমুখি হওয়া বাংলা একাডেমির কর্মীদের অবরুদ্ধ কিন্তু সাহসী চিত্র। একাত্তরের মহান মার্চে লেখক সংগ্রাম শিবির বাংলা একাডেমি মিলনায়তনেই আয়োজন করেছে দিকদর্শী আলোচনা সভা ‘ভবিষ্যতের বাংলা’। ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদারদের গোলার আঘাতে তাই ঝাঁজরা হয় একাডেমির বর্ধমান হাউস।

বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের বর্তমান অবস্থা। গতকাল বিকেলে
ছবি: সাইফুল ইসলাম

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি আয়োজিত প্রথম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে সভাপতি কবি জসীমউদ্‌দীন লেখকের স্বাধীনতার পক্ষে সাহসী এক বক্তৃতা দেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সেই রুদ্ধবাক কালখণ্ডে, ১৯৭৭ সালে, বাংলা একাডেমির একুশের অনুষ্ঠানেই কবি নির্মলেন্দু গুণ পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর ঐতিহাসিক কবিতা ‘আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি’। এক স্মৃতিচারণায় নির্মলেন্দু গুণ বলেন, ‘আমি চিন্তা করলাম কবিতাটি বাংলা একাডেমিতেই পড়ব, কারণ বাংলা একাডেমি একুশের চেতনায় গড়ে ওঠা জনগণের প্রতিষ্ঠান। জনতার নায়ক শেখ মুজিবকে নিয়ে লেখা এই কবিতা পড়ার উপযুক্ত স্থান বাংলা একাডেমি ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।’ (আমার বাংলা একাডেমি, নির্মলেন্দু গুণ, বাংলা একাডেমি বার্তা, জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২০)

বৈচিত্র্যের দিগন্ত

স্বাধীন বাংলাদেশে বাংলা একাডেমি বাংলার লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতির অনুসন্ধান, সংগ্রহ ও চর্চায় ব্রতী হয়। ফোকলোর-বিশ্বে বাংলা একাডেমি এখন এক স্বীকৃত নাম।

প্রায় চার দশক ধরে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘অমর একুশে বইমেলা’ বিশ্ব-বাঙালির মননের মিলনমেলা।

আহমদ শরীফের সম্পাদনায় দৌলত উজীর বাহরাম খাঁর লায়লী মজনু বইয়ের মধ্য দিয়ে একাডেমি প্রকাশনা ক্ষেত্রে যে যাত্রা শুরু করে, তা কালক্রমে ভাষা-শহীদ গ্রন্থমালা, জীবনী গ্রন্থমালা, কিংবদন্তি লেখকদের রচনাবলিসহ এ পর্যন্ত প্রায় সাত হাজার বিচিত্র বইয়ের প্রকাশনা-ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। মোতাহের হোসেন চৌধুরীর রূপান্তরে বার্ট্রান্ড রাসেলের সুখ, ক্লাইভ বেলের সভ্যতা, সরদার ফজলুল করিমের অনুবাদে প্লেটো, এঙ্গেলস বা বুলবন ওসমানের ভাষান্তরে হেনরি লুইস মর্গানের বই আদিম সমাজ প্রকাশ করে একাডেমি বিচিত্র বিশ্বপ্রজ্ঞার সঙ্গে বাঙালি মননের সেতুবন্ধ রচনা করেছে। শীলভদ্র থেকে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর জীবনী কিংবা শেখ ফজলল করিম থেকে রণেশ দাশগুপ্তের রচনাবলি—বাংলা একাডেমির প্রকাশনা বাঙালি মননের বৈচিত্র্যকে ধারণ করে আছে।

বাবুরনামার বঙ্গানুবাদ বা বিষাদ-সিন্ধুর ইংরেজি অনুবাদের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ও বঙ্গীয় মনীষার যোগাযোগ সহজতর করার প্রয়াস পেয়েছে।

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, বিজ্ঞানী কুদরাত-এ-খুদা ও আবদুল্লাহ আল–মুতী শরফুদ্দীন, ইতিহাসবিদ আবু মহামেদ হবিবুল্লাহ, আইনজ্ঞ গাজী শামছুর রহমান, কবি শামসুর রাহমানের মতো বিদ্যাজগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনের ধারাবাহিকতায় বাংলা একাডেমির সভাপতি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের গুণী গবেষক, সম্প্রতি প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। গত বছর ‘বাংলা একাডেমির ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বক্তৃতা’য় আনিসুজ্জমানের সমাপনী-শব্দাবলিতে বাংলা একাডেমিকে নিয়ে মানুষের আকাঙ্ক্ষার যথাযথ প্রকাশ ঘটেছে, ‘বাংলা একাডেমি নিঃসঙ্গ দ্বীপের মতো নয়। সমাজে তার অবস্থান, সমাজেই তার ভিত্তি। সেই ভিত্তিটা যত শক্ত হয়, উভয়ের ততই মঙ্গল।’ (বাংলা একাডেমি ও আমাদের সমাজ, আনিসুজ্জামান, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯)