ভোটার তথ্য সংশোধনে শিক্ষা বোর্ডের অনাপত্তিপত্র লাগবে

নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশন

এখন থেকে কমপক্ষে এসএসসি বা সমমানের শিক্ষা সনদধারী ভোটারদের ভোটার তথ্য সংশোধন করার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র নেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে তারা এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

ইসির নিবন্ধন অনুবিভাগে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অনুবিভাগের মহাপরিচালক সাইদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেউ নিজের নাম, বয়স ইত্যাদি পরিবর্তন করতে চাইলে আমরা তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এসএসসির সনদের ওপর জোর দিয়ে থাকি। কিন্তু সেই সনদ আসল না নকল, সেটা বোঝার উপায় থাকে না। সে জন্যই এ ধরনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের সহযোগিতা নেব। তারা অনাপত্তিপত্র দিলে আবেদনকারীর তথ্য সঠিক বলে ধরে নেওয়া হবে। বিষয়টি আমরা কয়েক দিনের মধ্যেই প্রস্তাব আকারে কমিশনের বৈঠকে উপস্থাপন করব। আশা করি, কমিশন অনুমোদন করবে।’

ইসির নিবন্ধন অনুবিভাগ সূত্র জানায়, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তথ্য ১৯৯৬ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তাদের নিজস্ব সার্ভারে পাওয়া যায়। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইসির কর্মকর্তারা এসব বোর্ডের সার্ভারে ঢুকতে পারেন। তবে ১৯৯৬ সালের আগে পাস করা ব্যক্তিদের তথ্য বোর্ডের সার্ভারে নেই। এর বাইরে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও সমমানের শিক্ষা সনদ দেওয়া হয়। কিন্তু এসব সনদসংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য নিজস্ব কোনো সার্ভার এই তিন বোর্ডের নেই।

বৈঠক সূত্র জানায়, নিবন্ধন অনুবিভাগ সার্ভার তৈরি করে পাস করা শিক্ষার্থীদের তথ্য সংরক্ষণের ওপর তাগিদ দিয়েছে।

বৈঠকে নিবন্ধন অনুবিভাগের পক্ষ থেকে কোনো শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বা তার বেশি হলে ভর্তির জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ফটোকপি জমা দেওয়ার বাধ্যতামূলক করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। আর যাঁদের এনআইডি থাকবে না, তাঁদের নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে পৃথক সনদ গ্রহণ করে ভর্তির আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়ার নিয়ম চালু করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের বয়স ১৮ বা তার বেশি, এমন শতভাগ লোককে ইসি নিবন্ধিত করেছে। সুতরাং কেউ যদি বলে তার এনআইডি নেই, সেটা গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত নয়। আমরা বলেছি, এ ধরনের ক্ষেত্রে ইসির সনদ ছাড়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা যাবে না। প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ই-মেইল ব্যবহার করে এ বিষয়ে ইসির সহযোগিতা নিতে পারবে।’