ভোলায় চারজন নিহত, ৩০ জন নিখোঁজ
ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের আঘাতে ভোলায় দুই সহস্রাধিক কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ চাপা পড়ে চারজন নিহত
হয়েছে। অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত ও ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মনপুরা ও চরফ্যাশন
উপজেলা।
দৌলতখান উপজেলার বিচ্ছিন্ন মদনপুর ও হাজীপুর, চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ও চরমাদ্রাজ, মনপুরা
উপজেলার কলাতলী ও কুকরি মুকরি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বুধবার রাত
আটটা থেকে তুমুল বর্ষণ শুরু হয়। রাত দুইটা থেকে বাতাসের গতিবেগ বাড়তে থাকে। গতকাল সকাল ১০টায়
মহাসেন আঘাত হানে। দেড় থেকে দুই ফুট পানিতে প্লাবিত হয় চরাঞ্চলগুলো।
সকাল আটটার দিকে চরমাদ্রাজ ইউনিয়ন আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে পারভেজ (৭) নামের এক শিশু গাছচাপায়
আহত হয়। স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তির পর দুপুর ১২টার দিকে সে মারা যায়। একই সময়ে কুকরি মুকরি
ইউনিয়নে গাছ চাপায় নিপা (১০) নামের এক শিশু মারা যায়। ঢালচর ইউনিয়নে রফিজুল ইসলাম (৫৫) নামের
এক ব্যক্তি গাছচাপায় মারা গেছেন। এ ছাড়া গাছচাপায় উপজেলায় অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছে।
লালমোহনের ধলীগৌরনগর বাত্তির খাল এলাকার রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবী মো. ফারুকুর রহমান জানান,
ভোরে গাছের নিচে চাপা পড়ে স্থানীয় মো. আবুল কাশেম (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত
হয়েছে ১০ জন। এ ছাড়া বাত্তির খাল ঘাটের পাঁচটি নৌকাসহ ১২ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, তাঁর ইউনিয়নের দুই শতাধিক ঘর
বিধ্বস্ত হয়েছে। আহত হয়েছে পাঁচজন। দুটি নৌকাসহ ১৪ জন জেলে নিখোঁজ। ঢালচর ইউপির চেয়ারম্যান
আবুল কালাম বলেন, তাঁর ইউনিয়নের পাঁচজন জেলেসহ অর্ধশতাধিক নৌকা ভেসে গেছে।
মনপুরা উপজেলার মনপুরা, হাজিরহাট, দক্ষিণ ও উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নে পাঁচ শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
তবে হতাহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সংখ্যা জানার জন্য চারটি দল কাজ করছে। জেলা প্রশাসক খোন্দকার
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য এরই মধ্যে ৮০ টন জিআর চাল ও চার লাখ টাকা বরাদ্দ
হয়েছে।