মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথে বাধা চিংড়ির হাজারো ঘের

সুন্দরবনের শ্যালা নদীর বিকল্প নৌপথ মংলা-ঘষিয়াখালীর দু’ধারে এক হাজার ৮২টি বাঁধ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে সহস্রাধিক চিংড়ি ঘের। রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় লালিত স্থানীয় প্রভাবশালীদের গড়ে তোলা এসব অবৈধ বাঁধ ও চিংড়ি ঘেরের কারণে ওই খালের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে খালের কয়েকটি স্থানে দ্রুত পলি পড়ছে।

আজ বুধবার নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত ‘মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ স্থায়ী না হলে সুন্দরবনের ধ্বংস অনিবার্য’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজধানীর পল্টনে মুক্তিভবনে আয়োজিত ওই সভায় বক্তারা সুন্দরবনের বিকল্প পথ মংলা-ঘষিয়াখালী খালকে নৌ চলাচলের স্থায়ী পথ হিসেবে চালু রাখার দাবি জানিয়ে বলেন, এ জন্য ওই বাঁধগুলো অবমুক্ত করতে হবে। সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আশীষ কুমার দে।

সভায় পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক বলেন, এই মুহূর্তে সুন্দরবনের রক্ষাকবচ মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল। এই নৌপথ স্থায়ীভাবে সচলে বাধা সৃষ্টিকারীরা যতই প্রভাবশালী হোক, তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। অবিলম্বে ফয়লা হাট সুইসগেট অপসারণসহ পাউবো’র সব বিতর্কিত প্রকল্প বাতিলেরও দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সুন্দরবন বিনাশী সব প্রকল্প বাতিলের দাবি জানান।

গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান তারিক চৌধুরী প্রশ্ন তুলে বলেন, সরকারি খালে শত শত অবৈধ বাঁধ দিয়ে গড়ে তোলা চিংড়ি ঘেরের মালিকেরা কী এতই প্রভাবশালী যে, তাদের উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না?

জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ নুরুর রহমান সেলিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক মুর্শিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সাবেক পরিচালক এমদাদুল হক বাদশা, জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা হাজি মোহাম্মদ শহীদ, সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের মহাসচিব তুষার রেহমান ও পিসের মহাসচিব ইফমা হুসেইন।