মহামারিতেও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন

করোনাভাইরাস মহামারিতেও ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটি বলছে, গত সাত মাসে ৬০টি পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করা হয়েছে। মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ২৩টি ঘটনা ঘটেছে। এসব সন্ত্রাসের কোনো কোনোটির সঙ্গে সন্ত্রাসীরা সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীর পরিচয় দিয়েছে।


আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে পরিষদ বলছে, তাদের নিজস্ব সূত্র, বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ ও শীর্ষ গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নির্যাতনের এসব পরিসংখ্যান প্রস্তুত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সাত মাসে হত্যার শিকার হয়েছেন ১৭ জন সংখ্যালঘু। ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩০ জন। ধর্ষণ চেষ্টার ছয়টি ঘটনা ঘটেছে। শ্লীলতাহানির কারণে তিনজন নারী আত্মহত্যা করেছেন। অপহরণের শিকার হয়েছেন ২৩ জন। ২৭টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। বসতভিটা, জমিজমা, শ্মশান থেকে উচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে ২৬ টি। সাতজনকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে, ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে চারজনকে। বসত-ভিটা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে ৮৮টি। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ২৪৭ জন।


পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশগুপ্ত বিবৃতিতে বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মূল লক্ষ্য হলো ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদ করা। তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করা।