মহাসেনের প্রভাবে বেড়েছে শাকসবজি ও মাছের দাম

ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে রাজধানীর কাঁচাবাজারে শাকসবজি ও মাছের দাম বেড়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানালেন বিক্রেতারা। এই দাম বাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষ। তবে নতুন চাল বাজারে আসছে বলে চালের দাম কমতে শুরু করেছে।

গতকাল শুক্রবার কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার ও উত্তরার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শাকসবজি ও মাছের সরবরাহ কম, দাম বেশি। বাজারে শীতের শাকসবজি খুব একটা নেই। আবার গ্রীষ্মকালীন শাকসবজিও কেবল আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও ছিল দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। ফলে গতকাল বাজারে শাকসবজির সরবরাহ ছিল কম।

এক কেজি টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢ্যাঁড়স, শসা, বেগুন, করলা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩০ টাকায়। মাঝারি আকারের লাউয়ের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এক ফালি মিষ্টিকুমড়া ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা।মাছের সরবরাহ বেশ কম। তাই গত সপ্তাহের চেয়ে সব ধরনের মাছের দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। গতকাল এক কেজি রুই মাছ আকারভেদে ২৩০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রেতারা পাঙাশ মাছ বিক্রি করেন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, মাঝারি আকারের চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। ছোট আকারের একটি ইলিশ বিক্রি হয় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, বড় আকারের ইলিশের দাম এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা।উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর কাঁচাবাজারের মাছ বিক্রেতা রউফ মিয়া বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চাঁদপুর, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় জেলাগুলো থেকে মাছ আসেনি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন জেলার চাষ করা মাছও আসেনি। ফলে বাজারে হিমঘরে রাখা মাছই বেশি। গরুর মাংসের দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। খাসির মাংসের দাম ৪৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা এবং দেশি মুরগির দাম কেজিপ্রতি ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা।


আদা-রসুনের দাম ঊর্ধ্বমুখী: খুচরা
পর্যায়ে আদা-রসুনের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এক কেজি রসুনের (বড় কোয়া) দাম ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। ছোট কোয়াবিশিষ্ট রসুন কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। গত দুই সপ্তাহে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। একইভাবে দুই সপ্তাহ ধরে আদার দামও বেড়েছে। আমদানি করা আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। দেশি আদা খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তবে তেল, চিনি, আলু, ডাল, শুকনা মরিচসহ অন্য নিত্যপণ্যের দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।

চালের দাম কমছে: বাজারে নতুন চাল আসতে শুরু করায় খুচরা পর্যায়ে প্রায় সব ধরনের চালের দাম কমছে। মোটা চাল বিশেষ করে ব্রি-২৮-এর দাম কেজিপ্রতি ৩০-৩১ টাকা। এক মাস আগে এর দাম ছিল ৩৫-৩৬ টাকা। মিনিকেট চালের দামও কেজিতে দু-তিন টাকা কমে মানভেদে ৪৩ থেকে ৪৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চাল মানভেদে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।