মাঝি

>

মানুষকে এখন আর মাইলের পর মাইল পালতোলা নৌকায় পার হতে হয় না। হয় না বইঠায় ঢেউভাঙা নৌকায় চড়েও। সড়ক যোগাযোগের বিস্তার ঘটেছে। আবার যেটুকু নৌপথ রয়েছে, সেখানেও আছে ইঞ্জিনের জলযান। এ কারণে কমেছে মাঝিদের কদর। তবে হাল আমলে কোথাও কোথাও দিব্যি টিকে আছে এই দাঁড়টানা নৌকা। আছেন মাঝি। এর বেশির ভাগই ব্যবহার হয়ে থাকে ছোট্ট পরিসরে খেয়া পারাপারে। যেমনটি দেখা যায় রাজধানী ঢাকার বুড়িগঙ্গায়। রাজধানীকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখা এই নদীতে প্রায় অর্ধশত খেয়াঘাট। ঘাটের কয়েকজন ইজারাদারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই খেয়া পারাপারের সঙ্গে জড়িত প্রায় পাঁচ হাজার মাঝি। পারাপারের মাধ্যমে অর্জিত অর্থই এসব পরিবারের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস। ছবিগুলো গত শুক্রবার রাজধানীর সদরঘাট, ওয়াইজ ঘাট ও লালকুঠি থেকে তোলা—

পড়ন্ত বিকেলে রৌদ্রোজ্জ্বল ঢেউয়ের তালে যাত্রীসমেত মাঝি।
পড়ন্ত বিকেলে রৌদ্রোজ্জ্বল ঢেউয়ের তালে যাত্রীসমেত মাঝি।
খালি নৌকা নিয়ে নদীর বুকে।
খালি নৌকা নিয়ে নদীর বুকে।
চিরাচরিত বাংলার ঐতিহ্য পালতোলা নৌকা এখনো মাঝেমধ্যে দেখা যায় বুড়িগঙ্গায়।
চিরাচরিত বাংলার ঐতিহ্য পালতোলা নৌকা এখনো মাঝেমধ্যে দেখা যায় বুড়িগঙ্গায়।
বুড়িগঙ্গায় ঘাটভেদে পারাপারে জনপ্রতি ভাড়া পাওয়া যায় ৫ থেকে ১০ টাকা। দিন শেষে উপার্জন হয় ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা। এর মধ্যে নৌকার জমা আছে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৮০ টাকা। আর দুপাড়ের ঘাট ইজারাদারকে দিতে হয় আরও ৮০ টাকা।
বুড়িগঙ্গায় ঘাটভেদে পারাপারে জনপ্রতি ভাড়া পাওয়া যায় ৫ থেকে ১০ টাকা। দিন শেষে উপার্জন হয় ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা। এর মধ্যে নৌকার জমা আছে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৮০ টাকা। আর দুপাড়ের ঘাট ইজারাদারকে দিতে হয় আরও ৮০ টাকা।
এক হাতে পালের দড়ি, অন্য হাতে হাল।
এক হাতে পালের দড়ি, অন্য হাতে হাল।
মাঝির শক্তি পেশি। সঙ্গে ঢেউ ভাঙানোর কৌশল।
মাঝির শক্তি পেশি। সঙ্গে ঢেউ ভাঙানোর কৌশল।
খেয়া পারাপারের জন্য যাত্রীর জন্য হাঁক ছাড়ছেন।
খেয়া পারাপারের জন্য যাত্রীর জন্য হাঁক ছাড়ছেন।