মানব পাচারের দায়ে সাবেক সাংসদ শহিদের ৭ বছরের কারাদণ্ড

সাবেক সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুল
ফাইল ছবি

কুয়েতে দণ্ডিত বাংলাদেশের সাবেক সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম এবার মানব পাচারের দায়ে সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন। এ মামলায় তাঁকে ২৭ লাখ কুয়েতি দিনারের জরিমানাও করা হয়েছে।

আজ রোববার কুয়েতের এক আপিল আদালত মানব পাচারের মামলায় দেওয়া রায়ে কারাদণ্ড শেষে কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুলকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

কুয়েতের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গালফ নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

এর আগে ঘুষ লেনদেন ও অর্থ পাচারের দায়ে কাজী শহিদ ইসলামের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁকে ২০ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানাও করা হয়েছে।

মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে শহিদকে গত বছরের ৬ জুন রাতে তাঁর কুয়েত সিটির বাসা থেকে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা আটক করেন।

মামলাসংশ্লিষ্ট কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউটরের দপ্তর, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সূত্র ও নথিপত্র থেকে জানা যায়, শুরু থেকেই শহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে মানব পাচারের পাশাপাশি মুদ্রা পাচারের অভিযোগ ছিল। এমনকি কুয়েতে শহিদ ইসলামের বাড়ির গ্যারেজে রাখা গাড়ি ও তাঁর প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালিয়ে চেকসহ আর্থিক লেনদেনের বেশ কিছু প্রমাণ পান দেশটির গোয়েন্দারা।

লক্ষ্মীপুর-২ আসন (রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সদরের আংশিক) থেকে সাংসদ হয়েছিলেন শহিদ ইসলাম। কুয়েতে কারাদণ্ডাদেশের পর সাংসদ পদ হারান তিনি। কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে লক্ষ্মীপুরের মানুষ শহিদ ইসলামকে দানবীর হিসেবে জানত। এলাকার লোকজন জানান, ১৯৮৯ সালে একটি প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার (শ্রমিকদের তত্ত্বাবধায়ক) হিসেবে চাকরি নিয়ে কুয়েত যান শহিদ। তখন তিনি ছিলেন অনেকটা নিঃস্ব। ১৯৯০ সালে ইরাকের কুয়েত দখলের কারণে তিনি দেশে ফিরে আসেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার কুয়েতে যান শহিদ।

আরও পড়ুন