মানহানি মামলায় অব্যাহতি পেলেন শমী কায়সার

শমী কায়সার
ফাইল ছবি

মানহানির মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার গত বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। আজ রোববার বিষয়টি জানা যায়।

অব্যাহতির আদেশে বলা হয়, মামলার বাদী আদালতে হাজির নেই। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। সার্বিক বিবেচনায় পিবিআইয়ের প্রতিবেদন গ্রহণ করা হলো।

অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, শমী কায়সার বাদী কিংবা অন্য কোনো সাংবাদিককে বা উপস্থিত অন্য কোনো ব্যক্তিদের উদ্দেশে ‘চোর’ বলে মন্তব্য করেছেন, আটক করে রাখা, আটক করে তল্লাশির নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাদী নিজেও এমন কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারেননি। এমন কোনো স্থিরচিত্র কিংবা ভিডিও ফুটেজও স্থাপন করতে পারেননি বাদী। অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তারক্ষীদের অনাকাঙ্ক্ষিত বাড়াবাড়ির কারণে ভুল–বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটে। অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে আনা মানহানির অভিযোগের ঘটনা প্রমাণিত হয়নি। এই প্রতিবেদন জমা দেন পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. লুৎফুর রহমান।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ করায় মামলা থেকে অব্যাহতি পান অভিনেত্রী শমী কায়সার। এর আগে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে করা এই মানহানির মামলায় ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় শাহবাগ থানার পুলিশ। অভিনেত্রী শমী কায়সারের বক্তব্যে মানহানিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়। একই সঙ্গে বলা হয়, মামলার বাদী সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারেননি। পুলিশের ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন জমা দেন মামলার বাদী মিয়া নুজহাতুল হাসান। আদালত বাদীর আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পিবিআইও তদন্ত করে এই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী শমী কায়সারের দুটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীসহ শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, মিলনায়তনের দরজা আটকে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিক ও অন্যদের ব্যাগ তল্লাশি করেন শমী কায়সারের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরা। এ ঘটনায় ওই বছরের ৩০ এপ্রিল স্টুডেন্ট জার্নাল বিডির সম্পাদক নুজহাতুল হাসান মানহানির অভিযোগ এনে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।