মানিকগঞ্জে আবার যমুনা ও পদ্মায় পানি বাড়ছে

বসতঘর থেকে বন্যার পানি নামলেও রাস্তাঘাট এখন পানিতে তলিয়ে আছে। রোববার বিকেলে হরিরামপুর উপজেলার মানিকনগর এলাকায়।ছবি: প্রথম আলো
  • মানিকগঞ্জ জেলার প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বন্যার পানি রয়েছে।

  • বন্যায় ৩১ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

  • বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে ৪২৫ মেট্রিক টন চাল এবং ৩ হাজার ৬০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

মানিকগঞ্জে যমুনা ও পদ্মা নদীতে আবার পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শিবালয় উপজেলার আরিচা পয়েন্টে যমুনা নদীতে ছয় সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। পানি বাড়ায় যমুনা ও পদ্মা নদী-তীরবর্তী মানুষজনের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) হাইড্রোলজি বিভাগের মানিকগঞ্জ অঞ্চলের উপসহকারী প্রকৌশলী বদরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, চলতি মাসে পানি কিছুটা বাড়লেও মানিকগঞ্জসহ ঢাকার চারপাশে বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে কিছুটা বন্যা হতে পারে। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যমুনা ও পদ্মায় পানি বাড়লেও মানিকগঞ্জের অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে পানি কমছে। এ বিষয়ে পাউবোর আরিচা পয়েন্টের পানি পরিমাপক ফারুক আহমেদ জানান, গত শনিবার থেকে দৌলতপুর ও শিবালয়ে যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে যমুনায় ছয় সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে তা বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা পানি বাড়ায় হরিরামপুরে পদ্মায় নদীতেও পানি বাড়ছে। তবে এখানে পাউবোর পানি পরিমাপের ব্যবস্থা না থাকায় পানি বৃদ্ধির পরিমাণ জানা যায়নি।

যমুনা নদীর পানি জেলার অভ্যন্তরীণ কালীগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীতে প্রবাহিত হয়। যমুনার পানি এখনো অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে না আসায় এ দুটি নদীতে পানি কমছে। এ বিষয়ে পাউবোর তরা পয়েন্টের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) রফিকুল ইসলাম জানান, কালীগঙ্গা নদীতে বর্তমানে ৭ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা সদরের তরা পয়েন্টে কালীগঙ্গার পানি এক সেন্টিমিটার কমেছে।

জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, বর্তমানে মানিকগঞ্জ জেলার প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা বন্যার পানি রয়েছে। বন্যায় ৩১ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে এ পর্যন্ত সরকারিভাবে ৪২৫ মেট্রিক টন চাল এবং ৩ হাজার ৬০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করা হচ্ছে। বন্যার্ত পরিবারগুলোকে ঘর নির্মাণের জন্য ঢেউটিন ও নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।