মায়ার মন্ত্রিত্ব অপসারণ চেয়ে করা রিট খারিজ
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সংসদ সদস্যপদ বাতিল ও মন্ত্রিত্ব থেকে তাঁর অপসারণ চেয়ে করা রিট আবেদনটি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি রিফাত আহম্মেদ রিটটি খারিজ করে দেন।
রিট আবেদনটি খারিজ হওয়ায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর সংসদ সদস্যপদ বহালে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী আবদুল বাসেদ মজুমদার।
এর আগে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী কোন কর্তৃত্ববলে এখনো মন্ত্রী ও সাংসদ আছেন, তা জানতে চেয়ে রুলের আরজি জানিয়ে গত ৭ জুলাই রিট আবেদনটি করেন ইউনূস আলী আকন্দ।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে করা মামলায় ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। ২০০৯ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি। ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট তাঁকে খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। গত ১৪ জুন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেন।
আপিল বিভাগের এ রায়ের পর মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর মন্ত্রিত্ব ও সংসদ সদস্যপদ থাকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। গত ৩০ জুন মায়াকে আইনি নোটিশ পাঠান ইউনূস আলী আকন্দ। নোটিশে তিনি জানতে চান, দুর্নীতির মামলা থেকে খালাসের রায় সর্বোচ্চ আদালতে বাতিল হওয়ার পর কোন কর্তৃত্ববলে মায়া এখনো মন্ত্রী ও সাংসদ রয়েছেন। ওই নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় তিনি রিট আবেদনটি করেন। এরপর গত ১৭ আগস্ট বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রিটের ব্যাপারে বিভক্ত রায় দেন।