মুক্তিযুদ্ধে ড. কামালের অবস্থান ছিল 'রহস্যজনক': মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ফাইল ছবি
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধের সময় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের অবস্থান ‘রহস্যজনক’ ছিল বলে দাবি করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এই দাবি করেন।

সম্প্রতি সরকারের পদত্যাগ চেয়ে বক্তব্য দেন ড. কামাল হোসেন। এই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তাঁর কঠোর সমালোচনা করেন মোজাম্মেল হক। ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যে হতবাক ও বিস্মিত হয়েছেন উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘অনেকে তাঁকে বলেন সংবিধানের প্রণেতা। বাস্তবতা যা–ই হোক, তিনি আইনমন্ত্রী থাকাকালীন সংবিধান প্রণীত হয়েছিল। তিনি সে কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। নিঃসন্দেহে সেই কৃতিত্বের অধিকারী তিনি হতেই পারেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর অবস্থান রহস্যজনক ছিল। যা–ই হোক, আমরা সেই কথা বলতে চাই না।’

ড. কামালের পরিবার বাংলাদেশের সাফল্য মেনে নিতে পারছে না দাবি করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘তাঁর (ড. কামাল) এক মেয়ের জামাতা আছে ইহুদি, তিনিও যে সব সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করে আসছেন, তা নিশ্চয়ই জাতি জানে।’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবারটিই মনে হয়, পরশু দিনের কথায় আমার ধারণা নিশ্চিত হয়েছে, পরিবারটি বোধ হয়, বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে যেহেতু মানার ব্যাপারে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল, আজকে সেগুলো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, কী ছিল সে সময়কার ভূমিকা।’

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘একজন নাগরিক হিসেবে সরকারের পদত্যাগ দাবি যে কেউ করতে পারেন। কিন্তু কামাল হোসেন যেসব শব্দ ব্যবহার করেছেন, তা আমরা আশা করিনি।’

নোবেল পুরস্কারের মতো এ বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেও একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রচলন করার দাবি জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। সেই সঙ্গে ইউনেসকোতেও বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার চালুর ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেন তিনি।

মোজাম্মেল হক বলেন, লুই কানের নকশায় বলা আছে, সংসদ এলাকায় কী থাকবে, কী থাকবে না। এই এলাকায় কয়েকজনের কবর আছে, যাঁরা স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন না। একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সংবিধান কাটাছেঁড়া করেছিলেন, তাঁরও একটি কথিত কবর আছে। হত্যাকারীরা তাঁর লাশ পুড়িয়ে দিয়েছিল। লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। কার লাশ এখানে দাফন করা হয়েছে, জানা নেই। তিনি নকশাবহির্ভূত কবর বা স্থাপনা অপসারণ করার জন্য স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় সভা হওয়া উচিত। কিন্তু ধর্মসভার নামে ইসলামবিরোধী যেসব অপপ্রচার হচ্ছে সেদিকে ধর্ম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সজাগ থাকতে হবে। অপপ্রচারকারী এসব আলেম নামধারীর তালিকা তৈরি করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ একমাত্র দল, যারা ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছে।