মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা অনস্বীকার্য

পুলিশ লোগোপুলিশের লোগো

মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ করেন তৎকালীন রাজারবাগ পুলিশ লাইনের সদস্যরা। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য খেতাব পাওয়া পুলিশ সদস্যের সংখ্যা কম। অবশ্য মুক্তিযুদ্ধের পর খেতাবের জন্য পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আবেদন করার আগ্রহও কম ছিল।
গতকাল শনিবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জার্নি আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা’—শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের সময় পুলিশের ভূমিকা গ্রহণযোগ্য নয়। মানুষের আস্থা ফিরে আনতে দুষ্কৃতকারীদের ধরে শাস্তি দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর আরেক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মানবজীবনের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ কাজ করছে। রাষ্ট্রকে দুর্বল করার চেষ্টা হলে সরকার তা প্রতিহত করবে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক বলেন, খেতাবপ্রাপ্তদের তালিকা বিশ্লেষণ করলে মনে হবে, মুক্তিযুদ্ধ একটি সামরিক যুদ্ধ ছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুর হক বলেন, জনগণের সঙ্গে পুলিশ থাকে। ১৯৯০ ও ১৯৯৬ সালে পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল না। তখন গণতন্ত্র নস্যাৎ করার চেষ্টা হয়েছিল। এবারও দেশ রক্ষায় পুলিশ থাকবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারির পর হরতাল ও অবরোধের নামে যে বর্বর সন্ত্রাস চলছে, তা পুলিশ চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের সাবেক ডিন খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, মুজিবনগর সরকারের গার্ড অব অনার প্রদানকারী মাহবুবউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মাহফুজা খানম।