মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের জন্য সুরক্ষা আইন দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের

জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
ছবি: প্রথম আলো

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

সংগঠনটির অন্য দাবিগুলো হচ্ছে দ্রুত যাচাই-বাছাইপূর্বক অমুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট বাতিল করে একটি স্বচ্ছ চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন, বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে গঠিত জামুকার কতিপয় দুর্নীতিবাজ ও অসাধু কর্মকর্তা–কর্মচারীকে অপসারণ, রাজাকারদের তালিকা দ্রুত প্রকাশ করে তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও নাগরিকত্ব বাতিল করা।

আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এসব দাবি উপস্থাপন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির দোসরদের আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করে সরকার মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করেছে, যা প্রশাসনকে দিন দিন জামায়াতীকরণের দিকে ধাবিত করছে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্বচ্ছ চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করা হয়নি। কতিপয় দুর্নীতিবাজ ও অসাধু কর্মচারী-কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে অনেক অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে হাজার হাজার অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা গেজেট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়নি। আবার নতুন করে যাচাই-বাছাইয়ের কারণে অনেক অমুক্তিযোদ্ধার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা সমাজে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।

সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি হঠাৎ ১৭ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা বন্ধ হওয়া নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বারবার দাবি করা সত্ত্বেও রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকারের নিকট এটি কখনোই কাম্য নয়।

মানববন্ধন শেষে সংগঠনটির সদস্যরা দাবি আদায়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। পরে সংগঠনের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল মন্ত্রণালয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে।