মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হবে: সাঈদ খোকন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয় l
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয় l
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা মহানগরীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ ও ভবিষ্যতে তাঁদের নামে রাজধানীর সড়কের নামকরণের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ ও তাঁদের নামে সড়কের নামকরণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাঈদ খোকন এ ঘোষণা দেন। ‘ঢাকায় বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সংবর্ধনা এবং পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিএসসিসি৷
সাঈদ খোকন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম দাবি ছিল তাঁদের বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ ও সড়কের নামকরণ করা। এ-সংক্রান্ত একটি সুপারিশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আছে। আমি ও আনিস ভাই (ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক) নিজে গিয়ে মন্ত্রণালয়কে এই ট্যাক্স মওকুফ করতে বলব। ভবিষ্যতে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ঢাকার বিভিন্ন সড়কের নামকরণ করা হবে৷

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
ছবি: ফোকাস বাংলা

সাঈদ খোকন মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন, তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে৷ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জুরাইনের কবরস্থানে প্রায় দেড় একর জায়গা সংরক্ষণ করেছে ডিএসসিসি৷ আপনাদের জন্য নগর ভবনের দরজা সব সময় খোলা আছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময় আপনারা যে চেতনা নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন, এখন নতুন করে দেশের উন্নয়নে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে৷ আপনাদের প্রত্যেককে মেয়রের ভূমিকা পালন করতে হবে৷ তা হলে একটি সুন্দর ও বাসযোগ্য ঢাকা করা যাবে৷
ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা না থাকলে আমরা একটি স্বাধীন মানচিত্র পেতাম না৷ তাঁদের কল্যাণেই দেশ আজকে এই পর্যায়ে এসেছে৷ সবকিছু দিয়েও এই ঋণ শোধ করা যাবে না। তবে আপনাদের চাওয়া-পাওয়া পূরণে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করব।’

সভায় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিল ঢাকার ইউনিট কমান্ডার আমির হোসেন মোল্লা, ডিএসসিসির ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেন, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ বক্তব্য দেন৷ এতে প্রায় আড়াই হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন৷ অনুষ্ঠান শেষে ডিএসসিসির সংগীত শিক্ষাকেন্দ্র এবং নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ এতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা অংশ নেন৷