মুঠোফোনে লুডু খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০, বসতঘরে আগুন

মোবাইল ফোনে লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের সময় অন্তত ৩০টি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। পাইকপাড়া এলাকা, রাজৈর, ১৪ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো
মোবাইল ফোনে লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের সময় অন্তত ৩০টি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। পাইকপাড়া এলাকা, রাজৈর, ১৪ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় মুঠোফোনে লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০টি বসতঘর ভাঙচুর এবং ৫টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের বৈরাগীর বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত আটটার দিকে পাইকপাড়া ইউনিয়নের বৈরাগীর বাজার এলাকার একটি সেতুর ওপরে বসে লুডু খেলছিলেন মেহিদী ও তৌহিদ নামের দুই যুবক। এ সময় জয়–পরাজয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পাইকপাড়া ইউনিয়নের বৈরাগীর বাজার এলাকার লোকজন ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের রাজেশ্বরদী গ্রামের লোকজন দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০টি বসতঘর ভাঙচুর ও ৫টি বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে সেখানে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। সংঘর্ষে দুই গ্রামের অন্তত ২০ জন আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে রাজৈর ও ভাঙ্গা থানার পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের সময় বসতঘর ভাঙচুর ও পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। পাইকপাড়া এলাকা, রাজৈর, ১৪ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো
দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের সময় বসতঘর ভাঙচুর ও পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। পাইকপাড়া এলাকা, রাজৈর, ১৪ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন রহিমা বেগম (২৫), মেরি বেগম (৪০) মফিজুর রহমান (১৪), কামাল হোসেন (৪০), মো. আফজাল (২৮), মো. আলকাজ (৩৫), মো. রাকিবুল (৩৫), মো. আলী (২৫), আউয়াল (২২) ও নওসাদ (২০)।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সফিউদ্দিন মোল্লা ও পাইকপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন জানান, দুই গ্রামবাসীর মধ্যে তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার কথা রয়েছে।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, ঘটনাস্থল মাদারীপুর ও ফরিদপুরের মাঝামাঝি হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।