মৃত্যু নিয়ে স্ট্যাটাস, পরদিনই সড়কে প্রাণ গেল যুবকের

মিজান আহমদ। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া
মিজান আহমদ। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া

‘আমি মারা গেলে আমার কবরে ফুল দিও না, পারলে একটু কোরআন তিলাওয়াত করিও।’ গত বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মৃত্যু–পরবর্তী ইচ্ছার কথা এভাবেই প্রকাশ করেছিলেন মো. মিজান আহমদ (২২)।

এমন স্ট্যাটাস দেওয়ার এক দিন পরই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে মিজানের। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দীঘিরপার পূর্ব ইউনিয়নের হিম্মতের মাটি গ্রামের ফয়জুল হকের ছেলে মিজান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে জকিগঞ্জ থেকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন মিজান। কানাইঘাটের কাঁঠালুপুর এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত মিজানের বন্ধু মো. আবদুর রব চৌধুরী বলেন, ‘ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দেখে মনে হয়েছিল মজা করার জন্যই দিয়েছিল। তবে এর পরদিনই দুর্ঘটনায় তাঁর এমন মৃত্যু হবে কল্পনাও করিনি। হয় তো এটি কাকতালীয় ঘটনা।’ তিনি বলেন, মিজানের ফেসবুক টাইমলাইনে অনেকেই শোকবার্তা দিচ্ছেন। বার্তায় পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়ে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছেন। রব চৌধুরী জানান, শুক্রবার রাত সোয়া আটটায় উপজেলার হিম্মতের মাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মিজানের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা বলেন, মোটরসাইকেলের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজানের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মোটরসাইকেলের আরোহী ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে।