ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র খনন শুরু

ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদ খননের যন্ত্রাংশ ও মেশিনারিজ।  ছবি: প্রথম আলো
ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদ খননের যন্ত্রাংশ ও মেশিনারিজ। ছবি: প্রথম আলো

শুকনো মৌসুমে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদ খননকাজ শুরু হয়েছে। গত শনিবার থেকে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে এ কাজ শুরু হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে পুরোদমে কাজ শুরু হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদ খননের কাজটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদ খননের উদ্দেশ্য হচ্ছে সারা বছর যাতে এ নদে নাব্যতা বজায় থাকে এবং সারা বছর যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল করতে পারে। পাশাপাশি স্থানীয় কৃষি ও মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে যাতে ব্রহ্মপুত্র নদ ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রের মোট ২২৭ কিলোমিটার অংশ খনন করা হবে। জামালপুর জেলার ব্রহ্মপুত্রের উৎসমুখ থেকে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার টোক পর্যন্ত এলাকায় এই ২২৭ কিলোমিটার নদ। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

প্রকল্প–সংশ্লিষ্টরা জানান, গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া কাজ বাধার মুখে পড়েছে খননকৃত মাটি ফেলার বিষয়টি নিয়ে। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। খুব দ্রুত বিষয়টির সমাধান হলেই পুরোদমে খনন শুরু হবে।

আটটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খননের কাজ করছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খননের জন্য ২৫টি খননযন্ত্র ব্রহ্মপুত্র নদে অবস্থান করছে। প্রথম দফায় ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা থেকে কিশোরগঞ্জের টোক পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার অংশে খননকাজ করা হবে। বাকি কাজ হবে দ্বিতীয় দফায়।

ময়মনসিংহের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসময়ের খরস্রোতা ব্রহ্মপুত্র নদ তিন দশক ধরে মরে গেছে। বর্ষাকালে দুই মাস এ নদে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকলেও শুকনো মৌসুমে একেবারেই পানি থাকে না। শুকনো মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রজুড়ে অসংখ্য চর জাগে। নদটি খনন করা ছিল ময়মনসিংহবাসীর দাবি। 

ব্রহ্মপুত্র নদ খনন প্রকল্পের পরিচালক রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘খননকাজ পুরোদমে শুরু হতে আর কয়েক দিন লাগবে। এ কাজ যাতে উদ্দেশ্যের শতভাগ বাস্তবায়ন করে, সে ব্যাপারে আমরা সচেতন আছি।’