যশোরে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫

এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া যশোর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উল্লাস। ছবিটি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তোলা। ছবি: এহসান-উদ-দৌলা
এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া যশোর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উল্লাস। ছবিটি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তোলা। ছবি: এহসান-উদ-দৌলা

মাধ্যমিক পরীক্ষায় চলতি বছর যশোর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমেছে। এবার এই বোর্ডে পাসের হার ৮০ দশমিক ০৪ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৯১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা গত বছরের চেয়ে প্রায় তিন হাজার কমেছে ।

পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কম হলো কেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, নির্ভরযোগ্য নম্বর প্রদান কর্মসূচির আওতায় এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হয়েছে। এ কর্মসূচির মূল বিষয় ছিল, যার যে নম্বর প্রাপ্ত, সে যেন সেই নম্বর পায়। অর্থাৎ পরীক্ষার খাতায় শিক্ষার্থীর যেন যথাযথ মূল্যায়ন হয়। এই মান যাচাই নিশ্চিত করার জন্য খাতা বণ্টনের আগে প্রধান পরীক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ বছর খাতা যথাযথ মূল্যায়নের কারণে ফলাফল একটু খারাপ হলেও শিক্ষার গুণগত মান বেড়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ‘পদার্থ বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে ছেলেমেয়েরা একটু খারাপ করেছে। তবে ফেল করার মতো প্রশ্ন হয়নি। হয়তো ৮০-এর বেশি নম্বর ওঠানো তাদের জন্য কষ্টকর ছিল। গণিত বিষয়ে পাসের হার সবচেয়ে কম। আর জিপিএ-৫ পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে সবচেয়ে কম। এটিও ফল খারাপ হওয়ার জন্য একটি বড় কারণ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

কমেছে জিপিএ ৫

এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৪৬০ জন। যেখানে গত বছর পেয়েছিল ৯ হাজার ৪৪৪ জন। চলতি বছর ৩ হাজার ৫২৪ জন ছেলে আর ২ হাজার ৯৩৬ জন মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

শূন্য পাসের হারের দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

যশোর বোর্ডের অধীনে এ বছর ২ হাজার ৫০১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৩ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। কেউ পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা রয়েছে দুটি। এ দুটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার আবদুল আজিজ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সাতক্ষীরার তালা উপজেলার উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে যথাক্রমে পাঁচ ও চারজন শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় অংশ নেয়।

এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানতে চাইলে মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, ‘শূন্য পাসের হারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্বীকৃতি বাতিলসহ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ পাঠানো হবে।’