যা ভাবছেন যৌনকর্মীরা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ যৌনপল্লির বাসিন্দারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চান না। অনেকের মধ্যেই আছে আতঙ্ক। তাই কেউ কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলতে চাচ্ছেন না।জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই এলাকাটি পড়েছে রাজবাড়ী-১ আসনের (সদর ও গোয়ালন্দ) মধ্যে।

গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেবেন যৌনপল্লির বাসিন্দারা। যৌনপল্লির তালিকাভুক্ত ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ১৬৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ মাত্র ৩৫ জন। বাকি ১ হাজার ১৩৫ জনই যৌনকর্মী ভোটার। তবে পল্লির বাইরেও অনেক যৌনকর্মী আশপাশের ঠিকানা দিয়ে ভোটার হয়েছেন। সেই হিসাবে এখানে প্রায় দেড় হাজার ভোটার রয়েছেন বলে ধারণা।

গত বুধবার সেখানে গিয়ে কথা হলো বেশ কয়েকজন যৌনকর্মীর সঙ্গে। পল্লির এক বাসিন্দা বললেন, তিনি পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। তবে কেমন প্রার্থী পছন্দ, সে বিষয়ে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সব দলের লোকেরাই এখানে ভোট চাইতে আসেন। তবে ক্ষমতাসীন দলের লোকদের আনাগোনা একটু বেশি।

একজন বললেন, ‘প্রার্থী তেমন পছন্দের নেই। ভোট দিতে হবে, তাই দেব। কোনো প্রার্থীই আমার পছন্দ না। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যাঁর কথা মনে পড়বে, তাঁকেই ভোটটি দিয়ে চলে আসব।’

এখানকার একজন বাসিন্দা বলেন, পল্লির সার্বিক পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। আগে যাতায়াতের জন্য ভালো রাস্তা ছিল না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল নোংরা। এখন এখানেও উন্নয়ন হয়েছে।

ভোট নিয়ে আলাপচারিতার সময় বেশ কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলো। তাঁদের কথায়, ভোট প্রদানে কোনো চাপ নেই। তবু অনেকের মধ্যে অজানা আতঙ্ক রয়েছে। তাই প্রকাশ্যে কেউ কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলতে চাচ্ছেন না।

এ প্রসঙ্গে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত প্রথম আলোকে বলেন, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, এ জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য থাকবেন। এ ক্ষেত্রে আতঙ্ক বা শঙ্কা সৃষ্টির কোনো কারণ নেই।