যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থমকে যাবে না: মোজাম্মেল হক

ভারতীয় মিত্রবাহিনীর স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জায়গা নির্ধারণের জন্য পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ১১ জুলাই। ছবি: প্রথম আলো
ভারতীয় মিত্রবাহিনীর স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জায়গা নির্ধারণের জন্য পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ১১ জুলাই। ছবি: প্রথম আলো

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোনো অবস্থাতেই থমকে যাবে না। পর্যায়ক্রমে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি হচ্ছে।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় ভারতীয় মিত্রবাহিনীর স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জায়গা নির্ধারণের জন্য পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

মোজাম্মেল হক বলেন, যারা খুব বড় যুদ্ধাপরাধী, তাদের বিচারের কথা পত্রপত্রিকায় উঠে আসে, মানুষও জানতে পারে। যারা নিম্ন পর্যায়ে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, তাদেরও শাস্তি হচ্ছে। সেগুলো পত্রপত্রিকায় আসে না বলে মনে হচ্ছে যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ স্থগিত হয়ে গেছে। কিন্তু সেটা সঠিক নয়, বিচারকাজ চলমান আছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। যদি কোথাও সদস্য হয়ে থাকে, তাহলে তাদের বহিষ্কার করা হবে। তিনি বলেন, ‘আশুগঞ্জে যুদ্ধের সময় সাত শতাধিক ভারতীয় সৈন্য আমাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করে বাংলার মাটিতে শহীদ হয়েছেন। আমরা তাঁদের স্মরণে আশুগঞ্জে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করতে চাই। যেহেতু আশুগঞ্জে বেশি যুদ্ধ হয়েছে, তাই আমরা মনে করি আশুগঞ্জের কোথাও স্মৃতিস্তম্ভটি হলে ভালো হবে।‌’

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের প্রসঙ্গে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা নন, এমন ব্যক্তিরা আমাদের তালিকাভুক্ত আছে। যখনই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারে অভিযোগ পাচ্ছি, তদন্ত করে তাদের বাতিল করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত আছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা আগামী বাজেটে ১৫ হাজার টাকা করে করা হবে।’

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম আরিফ উর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিমুল হায়দার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) আবু সাঈদ, বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারী, আশুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ইকবাল হোসেন, আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।