যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে পরিত্যক্ত জুট মিল দখলের অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলনে এ্যাজাক্স জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী এবং রংপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি মো. কাওছার জামান। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব, ২৮ অক্টোবর
ছবি: প্রথম আলো

খুলনার ব্যক্তিমালিকানাধীন এ্যাজাক্স জুট মিলস দখলের অভিযোগ উঠেছে খানজাহান আলী থানা যুবলীগ সদস্যের বিরুদ্ধে। মিলে সার রাখা, পরিবেশ দূষণসহ মিলের যন্ত্রাংশ বিক্রির অভিযোগ করেছেন জুট মিলের মালিক। তবে যুবলীগ নেতা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন এ্যাজাক্স জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী এবং রংপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি মো. কাওছার জামান।

কাওছার জামান দাবি করেন, ২০১৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত তাঁর জুট মিলটি চালু ছিল। এরপর বিভিন্ন সংকটের কারণে মিলটি বন্ধ হয়ে যায়। দেনার দায়ে মিলটি সোনালী ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ। খুলনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সদস্য ও খানজাহান আলী থানা যুবলীগের সদস্য সাজ্জাদুর রহমান এই জুট মিলটি দখল করে নিয়েছেন। সাজ্জাদুর মিলের ভেতরে রাসায়নিক সার রাখছেন এবং মিলের খালি জায়গা ভাড়া দিচ্ছেন। সার রাখার ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে বলেও অভিযোগ কাওছার জামানের।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, খুলনা জেলা প্রশাসক, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, খুলনা জেলা পুলিশ, সোনালী ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে দাবি করেন কাওছার জামান। অনধিকার প্রবেশ, দখল, সম্পত্তির ক্ষতিসাধন ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগে সাজ্জাদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে কাওছার বলেন, মিলের যন্ত্রাংশ ও আসবাব চুরি এবং বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁর ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি মিলটি ফিরে পেতে চান এবং তা চালু করে দেনা শোধ করতে চান।

এসব অভিযোগের বিষয়ে সাজ্জাদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্যই এসব করা হচ্ছে। তিনি কোনো দখল করেননি। এ্যাজাক্স জুট মিলটি খুলনার শিরোমণি ঘাটের কাছে। তিনি একজন ঘাট ইজারাদার। সরকারি যেসব সার আসে তা মিলের পাশে খোলা একটি জায়গায় রেখে দ্রুত খালাস করে দেন। মিলের ভেতরে তিনি কোনো জায়গা দখল করেননি। তিনি আরও বলেন, অভিযোগকারী কাওছার জামানের সঙ্গে তাঁর কোনো দিন দেখা ও কথাও হয়নি।