যে গণহত্যার কথা কেউ মনে রাখেনি

১৯২১ সালের চা-শ্রমিক বিদ্রোহ এ দেশের তৎকালীন শিক্ষিত বা বিদেশফেরত রাজনীতিবিদদের মনোযোগ আকর্ষণ করেনি।

চা–পাতা তোলার পর চলছে হিসাব–নিকাশ। সম্প্রতি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া চা–বাগানে
ফাইল ছবি

মাও সে–তুংয়ের লংমার্চের কথা আমাদের জানা। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ অক্টোবর কিয়াং-সি প্রদেশ থেকে শুরু হওয়া ওই পদযাত্রা শেষ হয় পরের বছরের ১৯ অক্টোবর। দীর্ঘ ওই ৩৭০ দিনের প্রবল দুঃখ–দুর্দশার মধ্যে ১৮টি পাহাড়পথ, ২৪টি ছোট–বড় নদী পেরিয়ে যখন তারা শেনসি প্রদেশের ইয়েনানে এসে পৌঁছান, তত দিনে ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৯২ হাজারই মৃত্যুবরণ করেছেন। ৬ হাজার মাইলের ওই দীর্ঘ পথে চিয়াং কাইশেকের সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে করতে তাঁরা ১১টি প্রদেশ অতিক্রম করেন।

এর প্রায় ১৩ বছর আগে বাংলাদেশের চা–শ্রমিকেরা দাসত্বের শিকল ছিঁড়ে পায়ে হেঁটে তাঁদের ফেলে আসা গাঁয়ে মায়ের কোলে ফিরতে চেয়েছিল। আসাম আর সিলেটের চা–বাগান থেকে তাঁরা অনেক কষ্টে চাঁদপুর স্টিমারঘাট পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিলেন। মেঘনা পাড়ি দিতে চাইলে তাঁরা গণহত্যার শিকার হন।

১৯২১ সালের মে মাসে চাঁদপুর গণহত্যা সম্পর্কে চাঁদপুরের বর্তমান (মে ২০২১) জেলা প্রশাসকের কাছে একজন সংবাদকর্মী জানতে চাইলে তিনি নাকি বলেছেন, ‘এমন ঘটনার কথা তাঁর জানা নেই। শত বছর আগের এ-সংক্রান্ত নথিও নেই। দোষ কি জেলা প্রশাসকের? আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা, রাজনীতি, গবেষণা, এমনকি সাহিত্যচর্চাতে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জায়গা নেই।

তাহলে আমরা কীভাবে আমাদের পূর্বপুরুষের কথা বলব? ‘পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত’ নিয়ে যাঁরা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ‘অতিক্রান্ত পাহাড়ের কথা বলতেন’, বলতেন ‘পতিত জমি আবাদের কথা’ বলতেন, তাঁদের কী করে চিনব? কে কীভাবে লিখবে চাঁদপুর রেলস্টেশনে গোরা আর গুর্খা সৈন্যের বেয়নেটের খোঁচায় আমার গর্ভবতী বোনের মৃত্যুর কথা।

প্রান্তজনের বঞ্চনার ইতিকথা

১৯২১ সালের চা–শ্রমিক বিদ্রোহ, তথা ‘মুল্লুকে চলো’ আন্দোলন ছিল করপোরেট ধাপ্পাবাজির বিরুদ্ধে শ্রমিকদের প্রথম সংগঠিত বিদ্রোহ। এর আগে ১৮৫৯–৬০ সালে নীল বিদ্রোহে মধ্যবিত্ত কৃষক আর তাঁতিরা আওয়াজ তুললেও একেবারে ভূমিহীন খেটে খাওয়া ‘বন্দি’ শ্রমিকদের বিদ্রোহ সেটাই ছিল প্রথম।

এই বিদ্রোহ এ দেশের তৎকালীন শিক্ষিত বা বিদেশফেরত রাজনীতিবিদদের মনোযোগ আকর্ষণ করেনি। সে বিদ্রোহ তাঁদের মোটেই উদ্বিগ্ন করেনি। কোনো দাগ কাটেনি তাঁদের মনে। তখন তাঁরা ব্যস্ত রাজনীতিতে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগিতে। ১৯১৬ সালের লক্ষ্ণৌ চুক্তির দানাপানি যখন তাদের নাগালে আসি আসি করছে, তখন এসব ‘কমিউনিস্ট মার্কা কুলি–কামিনদের গন্ডগোল’ তাঁরা এড়িয়েই চলেছেন।

গাছ হিলায়ে গা তো পাইসা মিলেবে

নীলে হাত পোড়ার পর ব্রিটিশ বেনিয়ারা চায়ে মন দেয়। চীন–জাপান যুদ্ধের কারণে চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি হলে চা আমদানি অনিশ্চিত হয়ে যায়। বিকল্প চা উৎপাদনের জন্য ইংরেজদের নজর পড়ে ভারতবর্ষের ওপর। ১৮৩৫ সালে বিজ্ঞানীদের নিয়ে তারা একটি কমিশন গঠন করে। তার নাম দেয় ‘রয়েল সোসাইটি’।

রয়েল সোসাইটি কাজ শুরু করার আগেই শিলচর ও করিমগঞ্জে চা–গাছের সন্ধান পাওয়া যায়। সে সময়েই প্রথম চীনের বাইরে বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। ১৮৩৮ সালে সিলেট ও কাছাড়ে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয় চায়ের উৎপাদন। ভারতবর্ষে আসামের লখিমপুরে, সিলেট ও কাছাড় জেলায় চায়ের উৎপাদন ব্যাপকতা পায়।

সস্তা শ্রমিক ছাড়া শ্রমঘন চা–শিল্পে কাঁড়ি কাঁড়ি উদ্বৃত্ত কড়ি জমবে কীভাবে? মুনাফা বলে কথা! প্রথমে স্থানীয়ভাবে শ্রমিক সংগ্রহের চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়দের কাজে লাগানোর নানা ফন্দিফিকির বের করে তারা—যেমন কৃষকদের খামারে উচ্চ হারে কর আরোপ। এমনকি পান–সুপারির ওপরও কর আরোপ করা হয়। তারপরও শ্রমিক সংগ্রহের ক্ষেত্রে তা খুব প্রভাব ফেলতে পারেনি।

চায়ের বুদ্ধি মাথায় আসার আগেই ক্রীতদাস প্রথা বাতিল হয়ে যাওয়ায় ঘুরপথে ক্রীতদাস ব্যবস্থা চালুর ফন্দি আঁটে তারা। আজীবন কাজের শর্তে এক আজব চুক্তিতে গোলাম বানিয়ে ফেলে এ দেশের বই না পড়া সহজ–সরল আদিবাসীদের। মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ভারতের নানা অভাবী জনপদ—যেমন বিহারের রাঁচি, হাজারীবাগ, সাঁওতাল পরগনা, ডুমকা ও গয়া; ওডিশার ময়ূরভঞ্জ, গঞ্জাম, সম্বলপুর ও চাইবাসা এবং মধ্যপ্রদেশের রায়পুর, রামপুরহাট ও জব্বলপুর—এ ছাড়া উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি রাজ্য থেকে তারা শ্রমিক সংগ্রহ করতে শুরু করে। নেপাল থেকেও একপর্যায়ে শ্রমিক আনা হয়। এভাবে প্রায় ১১৬টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে চা–শ্রমিক বানিয়ে তাদের আসাম–সিলেট অঞ্চলে নিয়ে আসে চা–বাগানের মালিক কোম্পানিগুলো।

এসব ১৮৩৪ সালের কথা। আদিবাসীরা এই অঞ্চলে এসে দেখে, গাছ নাড়লে টাকা পাওয়া তো দূরের কথা, হিংস্র জীবজন্তুর প্রতিকূল পাহাড়–জঙ্গলময় পরিবেশে নিজেদের জীবন বাঁচানোই দুঃসাধ্য এক ব্যাপার। অনাহারে-অর্ধাহারে অসুখে-বিসুখে এক বীভৎস জীবনের সম্মুখীন হতে হয় তাদের।

সে সময় আড়কাঠি ও গিরমিট প্রথার কারণে চা ম্যানেজাররা এই অসহায় মানুষগুলোর ওপর একচ্ছত্র নির্যাতন করার অধিকার পান। কোনো শ্রমিক ইচ্ছে করলেই চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে পারতেন না। বাগান থেকে পালিয়ে গেলে তাঁদের ধরে আনা হতো। দেওয়া হতো অমানবিক শাস্তি, যা মোটেই অপরাধ হিসেবে গণ্য হতো না। চাবুক আর বুটের লাথি ছিল এই নিরীহ মানুষগুলোর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এভাবে মালিকদের হাতে শ্রমিকের মৃত্যুকেও সাধারণ ঘটনা হিসেবে দেখা হতো। গুম–খুনের প্রয়োজন হতো না। সাত নয়, সব খুন মাফ ছিল চা–বাগানের মালিকদের।

১৮৪১ সালের দিকে শ্রমিক প্রেরণ কার্যক্রম বেগবান করার জন্য ‘ফ্রি কনট্রাক্টরস’ পদ্ধতি তৈরি করা হয়। এর বদৌলতে বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কুলি সংগ্রহ করার জন্য চা–করেরা চুক্তি করেন স্থানীয় এজেন্টদের সঙ্গে লোভী এজেন্টরা (এদেরকেই আড়কাঠি বলা হয় এবং এই প্রক্রিয়াতেই হয় আড়কাঠি আইন)। আড়কাঠিদের কাজ ছিল কুলিদের জাহাজ ডিপোতে নিয়ে এসে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া। একবার স্বাক্ষর করাতে পারলেই চা–মালিকদের জিম্মায় চলে যেতেন তাঁরা। জাহাজে তোলার আগপর্যন্ত তাঁদের আদর–আপ্যায়ন
ভালোই চলত। কিন্তু জাহাজের কর্তৃপক্ষের হাওলায় চলে আসার পরই শুরু হতো তাঁদের ওপর অমানবিক আচরণ।

জাহাজের ধারণক্ষমতা যেখানে দুই শ জন, সেখানে তোলা হতো এক হাজার থেকে বারো শ জন। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চা–চাষের জন্য ১৮৬৩-১৮৬৬ সালে এই অঞ্চলে নিয়ে আসা ৮৪ হাজার ৯১৫ জন শ্রমিকের মধ্যে অনাহারে-অর্ধাহারে, অসুখে-বিসুখে মারা গেছেন ৩০ হাজার জন শ্রমিক (গ্রিফিথস, ১৯৬৭–৭০)।

ফিরে চলো নিজের মুলুকে

কত দিন লাগবে, কী খাবে, রাস্তাঘাট চিনবে কী করে—এসব চিন্তা তাদের একটিবারের জন্যও থামাতে পারেনি। কী আর আছে যে তারা হারাবে? চাঁদপুর জাহাজঘাট তক পৌঁছাতে পারলে একটা হিল্লে হবেই হবে। কিন্তু জাহাজঘাটে যাবে কী করে? সবাই জড়ো হতে থাকে রেলস্টেশনে। তখন চা-বাগান মালিক ব্রিটিশরা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে শ্রমিকদের রেলের টিকিট না দেওয়ার নির্দেশ দেয়। উপায় খুব সহজে বেরিয়ে যায়। হাঁটা। এই রেললাইন ধরেই হাঁটো। সবাই সেই রেললাইন ধরেই হাঁটতে থাকে চাঁদপুর জাহাজঘাটের উদ্দেশে।

১৯২১ সালের ৩ মার্চ অনিপুর চা–বাগান থেকে ৭৫০ জন শ্রমিক বেরিয়ে এলে শ্রমিকদের মধ্যে বাগান ছাড়ার মনোবল দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়ে ওঠে। দ্বিধা কাটিয়ে দলে দলে শ্রমিকেরা বাগান থেকে বের হতে থাকেন। উদ্দেশ্য একটাই—নিজের মুলুকে ফিরে যাবে। চরগোলা অঞ্চলের চা–শ্রমিকেরা ঐক্যবদ্ধভাবে বিদ্রোহ ঘোষণা করে চা–বাগান থেকে বের হয়ে স্ত্রী–পুত্র–পরিজন নিয়ে রেলপথ ধরে হাঁটতে শুরু করেন। চরগোলা এক্রস নামে এই চা–শ্রমিক আন্দোলন পরিচিত। সিলেট ও কাছাড়ের প্রায় ৩০ হাজার চা–শ্রমিক এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। একটাই দাবি ছিল তাঁদের—ইংরেজ মালিকদের অধীনে আর কাজ করবেন না তাঁরা। তাঁরা ফিরে যাবেন তাঁদের নিজের আবাসভূমিতে।

তবু ফেরা হয় না

নথিভুক্ত থাক বা না থাক, আমরা সবাই জানি সে করুণ ইতিহাস। জাহাজে উঠতে উদ্যত প্রান্তিক মানুষগুলোকে গুলি করে ফেলে দেওয়া হয় মেঘনায়। ক্ষুধার্ত আহত শ্রমিকেরা রাতে রেলস্টেশনে ঘুমানোর সময় পুলিশ কমিশনার কে সি দের নির্দেশে গুর্খা সৈন্যরা ঘুমন্ত শ্রমিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শ্রমিকদের আর্তচিৎকারে আকাশ–বাতাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। রাতের অন্ধকারে অনেক লাশ গুম করে ফেলে গুর্খা বাহিনী।

এখানে কতজন যে অসহায়ভাবে প্রাণ হারাল, কতজন যে আহত হলো, তার কোনো হিসাব রাখা হয়নি। নথিভুক্ত হবে কী করে? বাগানমালিকেরা ভেবেছিল, ত্রাসের সঞ্চার করে তাঁদের আবার বাগানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সে জন্য একটি অতিরিক্ত কামরাসহ রেলগাড়িও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল স্টেশনে। সে উদ্দেশ্য খুব একটা সফল হয়নি। আক্রমণের ফলে পুরো শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিলেন শ্রমিকেরা।

চাঁদপুরবাসীর অবদান

সাধারণ চাঁদপুরবাসী বাঙালি আর মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীরা সহ্য করতে পারেনি চা–শ্রমিকদের নিদারুণ কষ্ট। ১৯২১ সালের সেই নির্মম–নিষ্ঠুর দিনে চাঁদপুরবাসী তাঁদের দুঃখে শরিক হয়েছিল। মাড়োয়ারি পাট ব্যবসায়ীরা তাঁদের পাটের গুদামে এবং মানুষজন তাঁদের বাড়িঘরে আশ্রয় দেন আহত ও ক্ষুধার্ত শ্রমিকদের।

চাঁদপুরে চা–শ্রমিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ডাকা হয় হরতাল। রেল ও জাহাজ কোম্পানির কর্মীরা সে হরতালে সমর্থন জানান। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তাঁরা অংশ নেন। এ ধর্মঘট ছড়িয়ে পড়ে পাশের জেলাগুলোতে। রেল কর্মচারীদের সে ধর্মঘট স্থায়ী হয় আড়াই মাস। আর তার জেরে ৪ হাজার ৫০০ জন কর্মী চাকরিচ্যুত হন। আর জাহাজকর্মীদের ধর্মঘট চলে ছয় সপ্তাহ।

চা-শ্রমিকদের খাদ্য জোগানোর জন্য চাঁদপুরে হারাধন নাগের নেতৃত্বে রিলিফ কমিটি গঠন করা হয়। জনসাধারণ উদারভাবে সাহায্যের হাত বাড়ান। একপর্যায়ে সরকার শ্রমিকদের খাদ্য সরবরাহ করতে চাইলে শ্রমিকেরা তা নিতে অস্বীকৃতি জানান। কিছুদিন পরেই শ্রমিকদের মধ্যে মহামারি আকারে কলেরা দেখা দেয়। বহু শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন। এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বেচ্ছাসেবকেরা প্রাণান্ত পরিশ্রম করেন।

এসব কিংবদন্তি ঐতিহ্যের কথা সরকারি কোনো নথিতে নেই।

প্রান্তজনেরা আবারও প্রতারিত

সংকট নিরসনে রাজনীতিবিদদের মধ্যস্থতার প্রয়োজন বোধ করে ব্রিটিশ সরকার ও বেনিয়ারা। মুসলিম লীগ, কংগ্রেস ইত্যাদি পাটভাঙা কাপড় পরে বৈঠকে বসে। কোম্পানির চিন্তা থেকেই তাদের বুদ্ধি খোলে। বেরিয়ে আসে চার দফা শান্তি চুক্তির দাসখত। শর্তগুলো দাঁড়ায় এ রকম: ১. এ মর্মান্তিক ঘটনার পরেও যেসব শ্রমিক নিজ মুলুকে যেতে একান্ত ইচ্ছুক, কোম্পানি তাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করবে। ২. কিছু কংগ্রেসকর্মী গিয়ে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে। ৩. বাকিরা আসামে ফিরে গিয়ে আবার কাজ পাবে। ৪. কোম্পানি তাদের কাজ পেতে কোনো অসুবিধার সৃষ্টি করবে না।

ছেলে ভোলানো চার দফা আপসের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে। কোনো তদন্ত নয়, লাশের কোনো গোনাগুনতি নয়, কোনো ক্ষতিপূরণ নয়। নিরবচ্ছিন্ন শান্তি।

লেখক: গবেষক

[email protected]