রাঙামাটির দুই উপজেলায় ১৪৪ ধারা

বিবদমান একাধিক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের একই স্থানে সমাবেশ ডাকাকে কেন্দ্র করে রাঙামাটির কাউখালী ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় ১৪৪ ধারা চলছে। সেখানে সমাবেশ আহ্বানকারী দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনা ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওই দুই উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কাউখালী উপজেলায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি ও প্রতিপক্ষ ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা ইউপিডিএফ এবং বাঘাইছড়ি উপজেলায় জনসংহতি সমিতি ও জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) একই সময়ে একই স্থানে সমাবেশের ডাক দেয়।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি-সমর্থিত নাগরিক কমিটি পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে এবং রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিবাদে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের অনুমতির আবেদন করে। পরে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) পক্ষ থেকেও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে একই স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার অনুমতি চাওয়া হয়।
পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ সকাল সাতটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ইউএনও সুমন চৌধুরী ১৪৪ ধারা জারি করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে কাউখালী উপজেলায়ও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি একই দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি পেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার আবেদন জানায়। কিন্তু প্রতিপক্ষ ইউপিডিএফও মেডিকেল কলেজ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার আবেদন জানায়।

ইউএনও আফিয়া আক্তার বলেন, দুইটি সংগঠনের পক্ষ থেকে একই সময়ে একই স্থানে মিছিল-সমাবেশ করার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধরা জারি করা হয়েছে।