রাজারবাগ পীরসহ সহযোগীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিট

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

দেশের বিভিন্ন জেলায় মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ এনে রাজারবাগের পীর ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। সাত বছর বয়সী শিশু, দুজন নারী, একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, মাদ্রাসার শিক্ষক ও ব্যবসায়ীসহ আট ব্যক্তি গতকাল বৃহস্পতিবার রিটটি করেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী রোববার রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।

এর আগে ৪৯ মামলার চক্করে পড়ে একরামুল আহসান নামের ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই সব মামলা দায়েরের পেছনে কারা আছেন, তা খুঁজে বের করতে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে, একরামুলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় করা মামলার পেছনে রাজারবাগ দরবার শরিফের পীর দিল্লুর রহমান এবং তাঁর অনুসারীদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

এ অবস্থায় গতকাল আট ব্যক্তির পক্ষে আরেকটি রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দেশের ছয়টি জেলায় আটজনের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বাদীর নাম থাকলেও পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। একরামুলের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর অনেক বাদী ও সাক্ষীর সঙ্গে রিট আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার বাদী ও সাক্ষীর নামের মিল পাওয়া যায়। তাই রাজারবাগের পীর ও তাঁর ১১ সহযোগীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়।

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, রিট আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফৌজদারি মামলা দিয়ে হয়রানি করায় দিল্লুর রহমান ও তাঁর ১১ সহযোগীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় রাজারবাগ দরবার শরিফ ও পীর দিল্লুর রহমানের সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাবের ওপর তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে দুদকের চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিট আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী ও মামলা দায়েরের পেছনে তাদের উদ্দেশ্য সিআইডির মাধ্যমে তদন্ত করতে এবং তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ চাওয়া হয়েছে। রিট আবেদনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে।