রানা প্লাজার আহত শ্রমিকের ৪৮ শতাংশ বেকার

রানা প্লাজা। ফাইল ছবি
রানা প্লাজা। ফাইল ছবি

সাভারের রানা প্লাজা ধসে আহত পোশাকশ্রমিকের ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেকার। তাঁরা অন্তত ছয় মাস ধরে কোনো কাজ করছেন না। ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ আহত শ্রমিকের কর্মসংস্থান আছে। তাঁদের মধ্যে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ পোশাক কারখানায়, ২১ দশমিক ৬ শতাংশ দিনমজুরি, ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ ছোট ব্যবসা, ৭ দশমিক ৮ শতাংশ গৃহকর্মীর কাজ করেন।

বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশনএইডের পরিচালিত জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। রানা প্লাজা ধসে আহত ২০০ শ্রমিকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে এই জরিপটি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, আহত শ্রমিকদের পরিবারের ৬০ দশমিক ৬ শতাংশের মাসিক আয় ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। সাড়ে ৪ শতাংশের মাসিক আয় পাঁচ হাজার টাকার নিচে। ১০ হাজার টাকার ওপরে আয় করেন মাত্র ১৪ দশমিক ১ শতাংশ শ্রমিক। আর ২০ হাজার টাকার ওপরে আয় আছে সাড়ে ৪ শতাংশের।

আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সংসদীয় কমিটির সদস্য ছবি বিশ্বাস। সভাপতিত্ব করেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।
জরিপে উঠে এসেছে, রানা প্লাজা ধসে আহত শ্রমিকদের ১২ শতাংশের শারীরিক অবস্থা এখনো খুব খারাপ। ঘটনার পাঁচ বছর হতে চললেও তাঁরা মাথাব্যথা, হাত-পা ব্যথা, পিঠব্যথার মতো সমস্যায় ভুগছেন। সাড়ে ৭০ শতাংশ শ্রমিকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। বাকি সাড়ে ১৭ শতাংশ শ্রমিক পুরোপুরি সুস্থ। এ ছাড়া সাড়ে ১৪ শতাংশ আহত শ্রমিক এখনো ট্রমায় ভুগছেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জাকির হোসেন। আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, বুয়েটের অধ্যাপক ইশরাত ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আলী আহাম্মেদ খান, শ্রমিকনেতা ওয়াজেদ-উল ইসলাম খান, বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।