রান্না করে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ

রান্না করে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ করোনা সংকটে মুটে-মজুর, দরিদ্র-অসহায় মানুষের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল। ছবি: সংগৃহীত
রান্না করে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ করোনা সংকটে মুটে-মজুর, দরিদ্র-অসহায় মানুষের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি ছুটি প্রায় এক মাস ধরে চলছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ৫ মে পর্যন্ত সব কিছুই বন্ধ। কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষেরা কীভাবে জীবনযাপন করছেন? কীভাবে কাটছে তাঁদের দিনগুলো? সামনের দিনগুলোই বা কাটবে কেমন? দিনকাল যেভাবেই কাটুক না কেন, সবার আগে তাঁদের প্রয়োজন একমুঠো খাবার। বিশেষ করে তৈরি খাবার। রান্না করা সেই খাবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলমান করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সচেতনতামূলক কার্যক্রম হিসেবে মুটে-মজুর ও দরিদ্র-অসহায় মানুষের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল। পুলিশের সদস্যরা নিজেদের বেতনের টাকা ও রেশন দিচ্ছেন। তা দিয়ে খাদ্যসামগ্রী কিনে খাবার রান্না করা হচ্ছে।

১ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন ৫০০ জন গরিব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য একবেলা করে খাবারে রয়েছে খিচুড়ি, ডিম ও সবজির ঘন্ট। এ ছাড়া ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় থেকেও প্রতিদিন সরবরাহ করা হচ্ছে প্রায় ৩০০ প্যাকেট খাবার।

এ ব্যাপারে উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, 'করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে অসহায় পরিবারদের মাঝে খাবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ।'

এ উদ্যোগ অপরাধ কমতেও সাহায্য করবে জানিয়ে নাবিদ কামাল বলেন, 'মানুষের ঘরে খাবার না থাকলে মানুষের মধ্যে অপরাধের চিন্তা কাজ করতে পারে। এলাকায় চুরি ও ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধও বাড়তে পারে। তাই এটা দু'দিকেই ভূমিকা রাখবে।'

এর আগে উত্তরা বিভাগের ছয়টি থানা থেকে ৫০০ জন দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের তালিকা তৈরি করা হয়।সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে টোকেন কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। টোকেন কার্ডে দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী তাদের প্রতিদিন খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।