রামগতি ও নান্দাইলে দুই নারীর মৃত্যু িনয়ে রহস্য

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে গত শুক্রবার এক নারী ও ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় গতকাল শনিবার এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে৷ গতকাল পুলিশ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থেকে এক চা-শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে৷ আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
রামগতি (লক্ষ্মীপুর): চরলক্ষ্মী গ্রামের আবু জাহেরের বাড়ি থেকে পুলিশ শুক্রবার রাতে তাঁর মেয়ে স্বপ্না আক্তারের (২০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি গতকাল লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্বপ্নার বড় ভাই জহির উদ্দিন রামগতি থানায় অপমৃত্যুর মামলা দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্থানীয় বড়খেরি নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) তাজুল ইসলাম জানান, স্বামী পরিত্যক্ত হওয়ার পর দুই বছর ধরে স্বপ্না বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন। বাবার অভাব-অনটনের সংসারে মাঝেমধ্যেই নানা বিষয় নিয়ে তাঁর (স্বপ্না) সঙ্গে পরিবারের অন্যদের ঝগড়া হতো। ধারণা করা হচ্ছে, এর জের ধরে অভিমান করে স্বপ্না বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
নান্দাইল (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের নান্দাইলে নাসিমা আক্তার (৪০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন উদ্ধার করেছেন। তিনি উপজেলার চারকান্দা গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী। আবুল কালাম জানান, তিনি গতকাল ভোরে বাড়ির কাছের একটি জলাশয়ে মাছ ধরতে যান। পরে বাড়ি ফিরে দেখতে পান দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। এরপর দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখতে পান নাসিমার মৃতদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ চলে আসে।
জুড়ী (মৌলভীবাজার): কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গতকাল সকালে গবিন বুনারজি (১৮) নামের এক চা-শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গবিন জুড়ী উপজেলার ফুলতলা চা-বাগানের ১১ নম্বর লাইনের বাসিন্দা মৃত শিবু বুনারজির ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তিনি চাচাতো ভাই জগদীশ বুনারজির ঘরে থাকতেন। গত শুক্রবার রাত নয়টার দিকে হঠাৎ গবিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ফুলতলা ইউপির চেয়ারম্যান ফয়াজ আলী জানান, গবিন বিষপান করেছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে এর কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। কুলাউড়া থানার এসআই মো. আসলামুজ্জামান জানান, চিকিৎসকদের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।