রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে ভারতীয় হাইকমিশনাসহ ৫ দেশের দূতের পরিচয়পত্র পেশ
ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গভবনে রীভা গাঙ্গুলী দাস ছাড়া ইতালির এনরিকো নুনজিয়াতা, তানজানিয়ার বারাকা হারান লুভান্ডা, আজারবাইজানের আশরাফ ফরহাদ শিখালিয়েভ ও উজবেকিস্তানের ফারহদ আরজিয়েভতিনি পৃথক পৃথকভাবে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসসকে জানান, হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে সবার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
বাংলাদেশ সব সময় ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দেয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে নতুন দূতদের এখানে কার্যকালে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে। বাংলাদেশকে বিপুল সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে আবদুল হামিদ ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ ও নিজ নিজ দেশের স্বার্থে রাষ্ট্রদূতদের সব সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় আন্তরিক সহায়তার জন্য ভারতের জনগণ ও সরকারের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক চমৎকার। বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক দিন দিন বেড়ে চলেছে।’
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সড়ক, জল ও আকাশ পথে সংযোগ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, এটি দুই প্রতিবেশী দেশের জনগণের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তি জোরদারের মাধ্যমে সম্পর্ক বাড়াতে সহায়ক হয়েছে।
ইতালির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে ইতালিকে এখানে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজে দেখার আহ্বান জানান। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক চমৎকার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে আগামী দিনে এ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে।
দূতেরা বাংলাদেশে তাঁদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে আর্থসামাজিক, যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের অসামান্য উন্নয়নের প্রশংসা করে তাঁরা তাঁদের নিজ নিজ দেশের অবস্থান থেকে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সচিবেরা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রদূতেরা বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি চৌকস অশ্বারোহী দল অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে তাঁদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।